মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো (A-Z গাইডলাইন)
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব সে বিষয়ে আপনাদের কাছে আজ বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকে পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সিং কত ভাবে শেখা যায় জানতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক আপনি জানলে অবাক হবেন যে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং থেকে টাকা তুলবেন। একাউন্ট ফ্রিল্যান্সিং কি সবগুলো আমার এই পোস্টটিতে আমি তুলে ধরেছি পোস্টটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো (A-Z গাইডলাইন)
- ফ্রিল্যান্সিং কি
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
- আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করব
- ফ্রিল্যান্সিং আকাউন্ট খোলার উপায়
- একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
- ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা তুলব কিভাবে
- শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
- ফাইভার (Fiverr) এর কাজ কিভাবে করতে হয়
- আপওয়ার্ক (Upwork) এর কাজ কিভাবে করবেন
- মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়
- একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত
- ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
ফ্রিল্যান্সিং কি
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ফ্রিল্যান্সিং এই কথাটি আমরা সচরাচর শুনে থাকি ফ্রিল্যান্সিং থেকে নাকি অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করা যায়। আমরা সবসময় এটা শুনে থাকি হ্যাঁ পাঠক আসলেই ফ্রিল্যান্সিং থেকে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং হলো আপনি একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে আপনার অনেকগুলো টাকার দরকার কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং তা নয় ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কোন টাকা লাগবে না।
অনেক বেশি টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার মত ফ্রিল্যান্সিং নয় সঠিক গাইডলাইন দরকার। অথবা আপনি কোথাও চাকরি করবেন আপনার মোটা অংকের একটা টাকা লাগবে বা বড় সার্টিফিকেট লাগবে কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান বড় ডিগ্রি লাগবেনা । আপনার একটি ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে একটি সুবিধা সেটা হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি আপনার বস । চাকরি করলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনাকে বসের নিয়ম অনুযায়ী থাকতে হবে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং তা নয় আপনি আপনার ইচ্ছামত চাকরি তাই করতে পারেন আপনি কোথাও ঘুরতে গেলেন সাথে আপনার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেলেন আপনি যেখানেই যাবেন আপনার কাজটা ঠিক রাখবেন কিন্তু আপনার স্বাধীন মত আপনি চলাফেরা করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে আপনার স্বাধীন
ফ্রিল্যান্সিং হল স্বাধীন ভাবে কাজ করার একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি নিজের সময়ে, নিজের নিয়মে কাজ করতে পারেন। এটি আপনাকে একটি স্থায়ী চাকরির বাইরে কাজ করার সুযোগ দেয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হল:
- আত্ম-পরিচালিত: আপনি নিজেই নিজের কাজের সময়সূচী, গতি এবং প্রকৃতি নির্ধারণ করবেন।
- বহুমুখী: আপনি একাধিক ক্লায়েন্ট এবং প্রকল্পের সাথে একসাথে কাজ করতে পারেন।
- অনুপস্থিতি: আপনি যেখানে থাকবেন সেখান থেকেই কাজ করতে পারবেন।
- নমনীয় সময়: আপনার নিজের পছন্দ মত সময় ব্যবস্থাপনা করা যাবে।
- স্ব-পরিচালনা: আপনি নিজেই নিজের প্রতিদানের হার নির্ধারণ করতে পারবেন।
সর্বোপরি, ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে আরও স্বাধীনতা এবং নমনীয়তার সাথে কাজ করতে দেয়। তবে এটি সাফল্যের জন্য আত্ম-অনুশাসন, দক্ষতা এবং নিজেকে বিপণন করার দক্ষতার উপরও নির্ভর করে।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি নিজস্ব স্বাধীনতা ইনকাম সোর্স আপনি অনেক বেশি পড়াশোনা করেও যেটা করতে পারেননি ফ্রিল্যান্সিং শিখে বা ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি তা উপার্জন করতে পারবেন। আপনার একটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থাকলে করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায় । আমরা হয়তো অনেকে ফ্রিল্যান্সিং কথা শুনেছি কিন্তু আমরা সঠিক ভাবে জানি না কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হয় ।
আরো পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
আসুন জেনে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখব আমরা এবং আমরাও টাকা ইনকাম করব বড় বড় ডিগ্রী ছাড়াই বা কাউকে ঘুষ দিবো না। আমাদের কর্ম ক্ষেত্রে আমরাই যদি বস হই তাহলে বিষয়টা কতটা আনন্দদায়ক তাই না এই পোস্টটিতে আমি তুলে ধরেছি ফ্রিল্যান্সিং শিখে আপনি কিভাবে ইনকাম করবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন। আশা করছি আমার এই পোস্টটি পড়লে আপনাকে অন্য কারো ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করা লাগবে না।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলির মোবাইল অ্যাপগুলি ডাউনলোড করুন: উপাদেয়, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলির মোবাইল অ্যাপ থাকে। এগুলি ডাউনলোড করে নিয়মিত দেখুন কোন ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
- নিজের দক্ষতা চিহ্নিত করুন: আপনার কোন দক্ষতাগুলি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বাজারজাত করা যায় তা নির্ধারণ করুন। যেমন- লেখালেখি, ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।
- পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এমন কাজের নমুনা তৈরি করুন যা আপনি প্রদর্শন করতে পারবেন।
- প্রোফাইল তৈরি করুন: ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মগুলিতে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন এবং সেখানে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও পোর্টফোলিওর কাজগুলি যোগ করুন।
- প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন: অনেক প্ল্যাটফর্ম ছোট আকারের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এগুলিতে অংশগ্রহণ করে নিজেকে প্রদর্শন করতে পারবেন।
- প্রশিক্ষণ কোর্সগুলি করুন: ফ্রিল্যান্সিং এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করতে পারেন।
- নেটওয়ার্কিং করুন: অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন এবং নতুন সুযোগ খুঁজুন।
নিয়মিত অনুশীলন ও অভ্যাসের মাধ্যমে মোবাইল থেকেই ক্রমশ আপনি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবেন।
আর্টিকেল রাইটিং কিভাবে করব
আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং এর একটি জনপ্রিয় খাত। এটি ভালভাবে শিখতে পারলে এর মাধ্যমে আপনি ভাল আয় করতে পারবেন। নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি আর্টিকেল রাইটিং শুরু করতে পারেন ভালভাবে বাংলা/ইংরেজি লেখা শিখুন আর্টিকেল লেখার প্রাথমিক শর্ত হল ভাষায় দক্ষতা থাকা। বানান, বাক্যগঠন, বিন্যাসকরণ ইত্যাদি জানতে হবে। গ্রামার ও শব্দভান্ডার বাড়াতে হবে।
বিষয় নির্বাচন করুন কোন বিষয়ে আপনার পারদর্শিতা বেশি তা নির্ধারণ করুন। যেমন - স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তি, ব্যবসা ইত্যাদি। অনলাইন তথ্য/ডকুমেন্টেশন পড়ুন আপনার লেখা বিষয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট, নিবন্ধ, ব্লগ আর্টিকেল পড়ুন। জানার চেষ্টা করুন আপনাকে কি কি তথ্য দিতে হবে আর টুলস কি কি ব্যবহার করতে হবে।
পোর্টফোলিও তৈরি করুন বিভিন্ন আর্টিকেল লিখে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন, যাতে আপনার লেখার নমুনা থাকে। ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলুন ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এসব সাইটে অ্যাকাউন্ট করুন। আপনার দক্ষতা ও পোর্টফোলিও উঠিয়ে দিন। প্রোপোজাল লিখুন: বিভিন্ন ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী যুক্তিসহ প্রোপোজাল লিখুন। কম খরচে শুরু করে ক্রমশ অভিজ্ঞতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
ক্লায়েন্টদের প্রতিক্রিয়া গুরুত্ব দিন প্রথম কয়েকটি কাজের পর ক্লায়েন্টদের প্রতিক্রিয়া দেখুন। সেখান থেকে আপনার দুর্বলতা চিহ্নিত করে উন্নতি করার চেষ্টা করুন। মার্কেটিং করুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের পণ্য বা সেবার প্রচার করুন। নেটওয়ার্কিং করে এবং নতুন প্রযুক্তি শিখে নিজেকে আপডেট রাখুন। ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত অনুশীলন করলে আর্টিকেল রাইটিং ফ্রিল্যান্সিং থেকে ভাল আয় করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং আকাউন্ট খোলার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খোলার উপায় আমরা হয়তো অনেকেই এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না হয়তো কিছু শুনেছি আসুন জেনে নেই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খুলবেন নিচের পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং আকাউন্ট খুলতে পারেন
বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন প্রথমে আপনাকে উপাদেয়, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার, পিপলপার আওয়ার, টপটাল ইত্যাদি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে কয়েকটি নির্বাচন করতে হবে। সাইটে সাইন আপ করুন নির্বাচিত প্ল্যাটফর্মগুলির ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনাকে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন নাম, ইমেইল আইডি, পাসওয়ার্ড প্রভৃতি প্রদান করতে হবে।
নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন অ্যাকাউন্ট খুলার পর আপনাকে নিজের সম্পূর্ণ প্রোফাইলটি তৈরি করতে হবে। এখানে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পোর্টফোলিও ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে। প্রোফাইলের ছবি আপলোড করুন একটি পেশাদার মানসম্মত প্রোফাইল ছবি আপলোড করতে হবে। ছবিটি আপনার চেহারার পাশাপাশি আপনার আত্মবিশ্বাস ও প্রফেশনালিজম প্রতিফলিত করবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায়
পোর্টফোলিও তৈরি করুন আপনার পূর্বের কাজগুলির নমুনা একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। যাদের জন্য নতুন, তারা ফ্রি কাজ করে প্রথমে নমুনা তৈরি করতে পারেন। সার্টিফিকেটপ্রশিক্ষণের তথ্য দিন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রশিক্ষণ বা সার্টিফিকেট গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি কোন প্রশিক্ষণ বা সার্টিফিকেট থাকে, সেগুলির বিস্তারিত তথ্য অবশ্যই প্রদান করুন।
নিজের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করুন সাধারণত প্রতিটি কাজের জন্য এক নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের হার নির্ধারণ করা থাকে। অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটি নির্ধারণ করুন। প্রথম দিকে থেকে থেকে শুরু করা যেতে পারে। বায়োগ্রাফি ও কভার লেটার লিখুন অনেক সাইটে একটি সামারি বায়োগ্রাফি বা কভার লেটার দেওয়ার বিকল্প থাকে। এখানে আপনি নিজের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে পারেন।
ঠিকমতো এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করে সফলভাবে আপনার ফ্রিল্যান্স আকাউন্ট তৈরি করা সম্ভব। এরপরই শুরু হবে আপনার আসল ফ্রিল্যান্সিং কার্যক্রম।
ফ্রিল্যান্সিং খুলতে সাইটে সাইন আপ করব কিভাবে
ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সাইন আপ করার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং সাইট বেছে নিতে হবে। যেমন- ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি।
- সাইটের হোমপেজে গিয়ে "সাইন আপ" বা "রেজিস্ট্রেশন" লিঙ্কটি খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত এটি হেডারে বা ফুটারে থাকে।
- সাইন আপ লিঙ্কে ক্লিক করলে একটি ফরম আসবে। এখানে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে যেমন:
- ইমেইল এড্রেস বা ফোন নম্বর
- পাসওয়ার্ড
- নাম
- দেশ/অবস্থান
- জন্ম তারিখ
- প্রোফেশন/দক্ষতা
- ফরমে পর্যায়ক্রমে সটিকভাবে তথ্যগুলি প্রদান করুন। প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আগাম দিতে পারেন।
- অনেক সাইটে প্রোফাইল ছবি আপলোড করতে হয়। তাই একটি বৈধ ও চমৎকার ছবি রাখুন। এটি আপনার প্রথম পরিচয়।
- অনেক সাইটে শর্তাবলী ও নীতিমালা রয়েছে। সেগুলি পড়ে সম্মতি দিতে হবে।
- সব তথ্য প্রদান করে শেষ করার পর "কম্প্লিট সাইন আপ" বা "সাবমিট" বাটনে ক্লিক করুন।
- অনেক সময় একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক আপনার ইমেইলে পাঠানো হবে। সেটি বৈধ করতে হবে।
- অনেক সাইটে প্রারম্ভিকভাবে একটি ফ্রি বেসিক অ্যাকাউন্ট দেওয়া হয়। আপনি চাইলে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনও কিনতে পারেন।
- অ্যাকাউন্ট তৈরি হলে পিন-পয়েন্ট নিতে পারেন। নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সাইটের ফীচারগুলো সম্পর্কে জানুন।
সাইটের নির্দেশনা মেনে সতর্কভাবে এই পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করলে আপনি সফলভাবে একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইটে সাইন-আপ করতে পারবেন।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
- একাউন্টিং ভিত্তিক দক্ষতা অর্জন করুন: একাউন্টিং কর্মসূচী, দলিলপত্র প্রস্তুত, ট্যাক্স রিটার্ন প্রণয়ন, বুককিপিং সফটওয়্যার ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়গুলি ভালভাবে শিখুন। এজন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন বা কাম্পেনি কোর্স করতে পারেন।
- একাউন্টিং সনদপত্র অর্জন করুন: CPA, CA, ACCA বা অন্য কোনো একাউন্টিং সার্টিফিকেশন অর্জন করলে এটি আপনার ক্রেডিবিলিটি বাড়াবে।
- একাউন্টিং সফটওয়্যার শিখুন: QuickBooks, Tally, Xero, FreshBooks ইত্যাদি জনপ্রিয় একাউন্টিং সফটওয়্যারগুলি শিখতে হবে। আপনার এ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।
- নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন: নমুনা হিসাবনীতি, দলিল ও প্রকল্পের কাজ করে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন যা আপনি দেখাতে পারবেন।
- ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রোফাইল তৈরি করুন: ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এসব সাইটে আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন। এখানে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবেন।
- প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করুন: অনেক সাইট ছোট আকারের একাউন্টিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এগুলিতে অংশ নিয়ে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারবেন।
- প্রোপোজাল পাঠান: আপনার দক্ষতা ও পোর্টফোলিওর ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রোপোজাল আবেদন করুন।
- গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন: প্রথম কিছু প্রকল্পের পর গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া নিন এবং তা থেকে শিখুন।
- আপনার পরিষেবাদি নিয়মিত আপগ্রেড করুন: একাউন্টিংয়ের নতুন ধারা, আইন-কানুন ও টুলসের সাথে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
- মার্কেটিং ও নেটওয়ার্কিং করুন: নিজের পরিষেবার প্রচার করুন এবং অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন।
ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা তুলব কিভাবে
- দক্ষতা বৃদ্ধি করুন: আপনার দক্ষতা যত বেশি তত বেশি উপার্জন করতে পারবেন। অতএব নিজের দক্ষতা বাড়াতে সর্বদা চেষ্টা করুন। প্রশিক্ষণ নিন এবং নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
- উচ্চমানের কাজ করুন: ক্লায়েন্টদের উচ্চমানের কাজ দিন। এতে তারা খুশি থাকবে এবং আপনাকে ভালো মূল্যায়ন ও রিভিউ দেবে।
- সঠিক মূল্যনির্ধারণ করুন: আপনার পণ্য বা সেবার জন্য মূল্য নির্ধারণ করার সময় বাজারদর এবং নিজের দক্ষতা বিবেচনা করুন। অনাবশ্যকভাবে বেশি কম মূল্য নির্ধারণ করবেন না।
- সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিতি বাড়ান: নিজের সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের সেবার প্রচার করুন। নিয়মিত পোস্ট করুন।
- নেটওয়ার্কিং করুন: অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং নতুন সুযোগ সম্পর্কে জানুন। প্রয়োজনে সহযোগিতা করুন।
- প্রস্তাব গ্রহণ করার সময় সতর্ক থাকুন: কোনো ক্লায়েন্ট স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব না দিলে তা গ্রহণ করবেন না। প্রয়োজনে চুক্তি সই করান।
- রিভিউ কালেক্ট করুন: প্রতিটি কাজের পর ক্লায়েন্টকে রিভিউ দেওয়ার অনুরোধ করুন। ভালো রিভিউ আপনার প্রতিষ্ঠা বাড়াবে।
- নিজের খরচ নিয়ন্ত্রণ করুন: ফ্রিল্যান্সিংয়ের উপার্জন চলমান নাও থাকতে পারে। সুতরাং নিজের খরচ সামর্থ্যের মধ্যে রাখুন।
- বিনিয়োগ করুন: পরিকল্পনা করে ফ্রিল্যান্সিং থেকে উপার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করুন।
- আইনগত বিষয়গুলো মেনে চলুন: শ্রম আইন, করের বিষয়ে যাতে কোন অসুবিধা না হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট
- ফাইভার (Fiverr): ফাইভার একটি সহজ এবং ছোট আকারের কাজের জন্য উপযুক্ত ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, লেখালেখি ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা থেকে থেকে শুরু করতে পারেন।
- আপওয়ার্ক (Upwork): আপওয়ার্ক একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে বড় আকারের প্রকল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কাজও পাওয়া যায়। এখানে কোডিং, ডাটা এনালাইসিস, ডিজাইন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে।
- ফ্রিল্যান্সার.কম (Freelancer.com): এটি আরেকটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আর্টওয়ার্ক, অনুবাদ, কপিরাইটিং সহ নানা ধরনের কাজের প্রস্তাব থাকে।
- স্টুডেন্ট নিউজ ডেইলি (StudentNewsDaily): এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিশেষ ফ্রিল্যান্স লেখক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ছোট ছোট গবেষণা এবং অন্যান্য লেখা কাজ পাওয়া যায়।
- ফাইয়ারক্র্যাকার্স (Firecrackers): এটি ছোট ছোট গবেষণা এবং লেখালেখির কাজ দেওয়ার জন্য অনেক ছাত্র/ছাত্রীদের পছন্দের একটি সাইট।
- পেইডবুকরিপোর্ট (PaidBookReport): বই এবং গবেষণা সম্পর্কিত লেখা কাজ দেওয়া হয় এই সাইটে।
- ক্রাউন্ড সোর্স (Crowdsource): এখানে বিভিন্ন টেস্টিং, গবেষণা এবং ডাটা এনালাইসিসের কাজ পাওয়া যায়।
ফাইভার (Fiverr) এর কাজ কিভাবে করতে হয়
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ফাইবার থেকেও অনেক টাকা ইনকাম করা যায় যদি আপনি কাজটি সঠিকভাবে করেন অবশ্যই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন কিভাবে করবেন সেটা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আমার এই পোস্টটি পড়ুন জানতে পারবেনফাইভার থেকে কাজ করার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- ফাইভার সাইটে সাইন আপ করুন: প্রথমে ফাইভার.কম এ যান এবং নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন। আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন এবং বায়োগ্রাফি দিন।
- আপনার দক্ষতা নির্বাচন করুন: ফাইভারে কি ধরনের কাজ করতে চান তা নির্বাচন করুন। যেমন- গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, লেখালেখি ইত্যাদি। দক্ষতাগুলি আপনার প্রোফাইলে উল্লেখ করুন।
- 'গিগ' তৈরি করুন: ফাইভারে আপনার পরিষেবাগুলিকে 'গিগ' বলা হয়। আপনি যে সকল পরিষেবা দিতে পারবেন সেগুলির জন্য পৃথক পৃথক গিগ তৈরি করবেন।
- গিগের বর্ণনা দিন: প্রতিটি গিগের জন্য একটি টাইটেল এবং বর্ণনা দিন। বর্ণনায় পরিষেবার বিস্তারিত বিবরণ দিন এবং প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড যুক্ত করুন।
- মূল্যনির্ধারণ করুন: প্রতিটি গিগে কতটাকা দাম চাইবেন তা নির্ধারণ করুন। সাধারণত ফাইভারে $5 থেকে শুরু করতে হয়। অভিজ্ঞতা বাড়লে মূল্য বাড়ানো যাবে।
- প্যাকেজ তৈরি করুন: চাইলে যোগসেবা দিয়ে বর্ধিত মূল্যের প্যাকেজও তৈরি করতে পারেন।
- ছবি ব্যবহার করুন: আপনার গিগের বর্ণনা পরিষ্কার করতে ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করুন।
- গিগ প্রকাশ করুন: তথ্য সম্পূর্ণ দিয়ে গিগটি প্রকাশ করুন। ক্লায়েন্টরা এখন এটিকে দেখতে এবং অর্ডার করতে পারবে।
- অর্ডার দেখুন এবং শুরু করুন: কোনো ক্লায়েন্ট অর্ডার করলে আপনি তা দেখতে এবং কাজ শুরু করতে পারবেন।এতে আপনার কাজের তথ্য এবং সময়সীমা থাকবে।
- সম্পন্ন করে জমা দিন এবং মূল্যায়ন প্রতীক্ষা করুন: কাজ শেষে সেটি জমা দিন। ক্লায়েন্ট এবং ফাইভার প্রশংসা বা নোট দিতে পারে।
এভাবে ফাইভারে আপনি কাজের জন্য গিগ তৈরি করবেন, অর্ডারগুলি গ্রহণ করবেন এবং সেগুলি সম্পন্ন করে জমা দিবেন। ভাল কাজের জন্য ভাল মূল্যায়ন ও পুনরাদেশ পাবেন।
আপওয়ার্ক (Upwork) এর কাজ কিভাবে করবেন
আপওয়ার্ক কাজ কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে আপনাকে আমার এই পোস্টটি করতে হবে এবং কিভাবে আপওয়ার্ক দিয়ে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন আপওয়ার্ক থেকে কাজ করার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
- আপওয়ার্ক সাইটে সাইন আপ করুন: প্রথমে upwork.com এ গিয়ে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন। এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিন এবং প্রোফাইল তৈরি করুন।
- নিজের দক্ষতা নির্বাচন করুন: কোডিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালেখি ইত্যাদি বিভিন্ন দক্ষতা থাকে। আপনার দক্ষতা নির্বাচন করে প্রোফাইলে উল্লেখ করুন।
- পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনার পূর্বের কাজের নমুনাগুলি একটি পোর্টফোলিও আকারে উপস্থাপন করুন।
- প্রোফাইল প্রতিষ্ঠা করুন: বায়োগ্রাফি লিখুন, হাইরিং রেট উল্লেখ করুন এবং আপওয়ার্কের স্কিল টেস্টগুলি করে নিজেকে প্রমাণ করুন।
- কাজের খোঁজ করুন: সাইটে আপনার দক্ষতাসম্পন্ন কাজগুলির জন্য অনুসন্ধান করুন। ভাল করে বর্ণনা পড়ুন।
- প্রোপোজাল পাঠান: প্রস্তাবিত কাজের বর্ণনা, আপনার দক্ষতা, পূর্বের অভিজ্ঞতা এবং হাইরিং রেট প্রভৃতি উল্লেখ করে যুক্তিসহ প্রোপোজাল লিখুন।
- ক্লায়েন্টের চয়ন হয়ে গেলে কাজ শুরু করুন: ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে চয়ন করেন, তাহলে তাদের নির্দেশাবলী মেনে চলুন এবং কাজ শুরু করুন।
- সামগ্রিকভাবে জমা দিন: কাজ শেষে ক্লায়েন্টের জন্য এটি জমা দিন এবং পেমেন্ট প্রতীক্ষা করুন।
- মূল্যায়ন করার জন্য অনুরোধ করুন: ক্লায়েন্টকে আপনার কাজের ওপর মতামত দেওয়ার জন্য বলুন। ভালো মূল্যায়ন আপনার পরবর্তী কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।
- আপওয়ার্ক ট্র্যাকার ব্যবহার করুন: প্রোপোজাল, কন্ট্রাক্ট, পেমেন্টের সব কিছুকে এই ট্র্যাকারের মাধ্যমে মনিটরিং করা যায়।
নিয়মিত অথচ যত্নসহকারে কাজ করলে আপওয়ার্ক থেকে ভাল আয় করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠা ও অভিজ্ঞতা বাড়লে আরও বেশি সুযোগ আসবে।
মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়
- লেখালেখি: আর্টিকেল লেখা, কন্টেন্ট লেখা, ব্লগিং, কপিরাইটিং ইত্যাদি কাজগুলি মোবাইলে সহজেই করা যায়। কোন প্রযুক্তিগত পারদর্শিতার প্রয়োজন হয় না।
- ভাষা অনুবাদ: আপনি যদি একাধিক ভাষায় দক্ষ থাকেন, তবে আপনি মোবাইল থেকে অনুবাদ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
- ডাটা এন্ট্রি: মোবাইল থেকে বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি করা যায়। আউটসোর্সিং এবং মানব সম্পদ সংস্থা থেকে এ ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
- ভিডিও এডিটিং ও ক্লিপ তৈরি: মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং এবং ক্লিপ তৈরি করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।
- সামাজিক মাধ্যম ব্যবস্থাপনা: আপনি মোবাইল থেকে ব্যক্তি বা সংস্থার সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
- গ্রাফিক ডিজাইন: মোবাইলের ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপের মাদ্ধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পাদন করা সম্ভব।
- ইলাস্ট্রেশন এবং স্কেচিং: আর্টিস্ট হিসেবে আপনি মোবাইল থেকে ইলাস্ট্রেশন ও স্কেচ করে কাজ করতে পারেন।
- মার্কেটিং সহায়তা: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কপিরাইটিং এবং অন্যান্য মার্কেটিং সহায়তা মোবাইল থেকেই সম্পন্ন করা সম্ভব।
- পরামর্শক হিসেবে কাজ: আপনি যদি কোনও বিশেষ বিষয়ে পারদর্শী থাকেন, তবে মোবাইল থেকেই অনলাইন পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে পারেন।
- ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: কোডিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ মোবাইল থেকেও সম্ভব।
ডাটা এন্ট্রি কি
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ডাটা এন্ট্রি হল একটি প্রক্রিয়া যা দিয়ে বিভিন্ন তথ্য এবং আঙ্কিক উপাত্তকে কম্পিউটার বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সংগৃহীত করা হয়। এটি প্রধানত নিম্নলিখিত কাজগুলি অন্তর্ভুক্ত করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ প্রথমে, প্রয়োজনীয় তথ্য বা উপাত্তগুলি হার্ডকপি বা অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত করা হয়।
ডাটা প্রবেশ পরবর্তীতে, সংগৃহীত তথ্য বা উপাত্তগুলি কম্পিউটার বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভৌত বা ইলেকট্রনিক ফর্ম্যাটে প্রবেশ করানো হয়। এটি করার জন্য বিভিন্ন ইনপুট ডিভাইস যেমন কীবোর্ড, স্ক্যানার, ওপ্টিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR) সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। ভেরিফিকেশন এবং সংরক্ষণ অবশেষে, প্রবেশকৃত তথ্য বা উপাত্তগুলি যাচাই করা হয় এবং ভুল বা ত্রুটি থাকলে সংশোধন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়
পরবর্তীতে, সঠিক তথ্যগুলি কম্পিউটারের ডাটাবেস বা অন্যান্য সঞ্চয়নস্থানে সংরক্ষণ করা হয়। ডাটা এন্ট্রি প্রক্রিয়াটি বিভিন্ন খাত যেমন বাণিজ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গবেষণা ইত্যাদিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি তথ্য পরিচালনা এবং বিশ্লেষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
ভিডিও এডিটিং ও ক্লিপ তৈরি করব কিভাবে
ভিডিও এডিটিং এবং ক্লিপ তৈরি করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন: বিষয়বস্তু নির্বাচন প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কী ধরনের ভিডিও তৈরি করতে চান। এটি হতে পারে একটি টিউটোরিয়াল, প্রোমো ভিডিও, ব্লগ ভিডিও ইত্যাদি।
সফ্টওয়্যার নির্বাচন - এরপরে আপনাকে এমন একটি ভিডিও এডিটর সফ্টওয়্যার খুঁজে বের করতে হবে যা আপনার প্রয়োজন মেটাবে। Adobe Premiere Pro, Final Cut Pro X, DaVinci Resolve, Camtasia, Wondershare FilmoraX ইত্যাদি কিছু জনপ্রিয় ভিডিও এডিটর। ফুটেজ সংগ্রহ - আপনার প্রয়োজনীয় আলো, অডিও, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করুন। ভিডিও ক্যামেরা বা স্মার্টফোন দিয়ে নিজেই শুটিং করতে পারেন অথবা স্টক ফুটেজও ব্যবহার করতে পারেন।
টাইমলাইনে ফুটেজ সাজানো - আপনার সফ্টওয়্যারের টাইমলাইনে ফুটেজগুলি সাজিয়ে নিন। প্রযোজ্য ক্রম অনুযায়ী সাজান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রিম করুন। এডিটিং টুলস ব্যবহার - এডিটিং টুলসগুলি ব্যবহার করে ভিডিওতে আকর্ষণীয় এফেক্টস যুক্ত করতে পারেন। ট্রানজিশন, টেক্সট, অভারলে, কালার কারেকশন ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন।
অডিও এডিটিং - বিভিন্ন অডিও সম্পাদনা টুল ব্যবহার করে ভয়েসওভার, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন। রেন্ডারিং ও এক্সপোর্ট - সবশেষে, আপনার এডিটকৃত ভিডিওটি রেন্ডার করে প্রয়োজনীয় ফরম্যাটে এক্সপোর্ট করুন।অনুশীলন এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন টিউটোরিয়ালস, কোর্স ও প্র্যাকটিস দ্বারা আপনি এই কাজটি শিখতে ও উন্নত করতে পারবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে করব
গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- সফটওয়্যার নির্বাচন করুন: গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। Adobe Photoshop, Illustrator, InDesign, CorelDRAW, Canva ইত্যাদি কিছু জনপ্রিয় সফটওয়্যার। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি বা একাধিক সফটওয়্যার নির্বাচন করুন।
- সফটওয়্যার শিখুন: নির্বাচিত সফটওয়্যারটি সম্পর্কে ভালভাবে জানুন। অনলাইন টিউটোরিয়ালস, কোর্স বা বই অধ্যয়ন করে সফটওয়্যারটি শিখতে পারেন।
- ডিজাইন বেসিকস শিখুন: গ্রাফিক ডিজাইনের মৌলিক বিষয়গুলি যেমন- রং থিওরি, টাইপোগ্রাফি, লেআউট, কম্পোজিশন ইত্যাদি শিখুন।
- আইডিয়া তৈরি করুন: আপনার ডিজাইন করার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করুন এবং তার উপর ভিত্তি করে আইডিয়া তৈরি করুন। সমসাময়িক ট্রেন্ড ও প্রচলিত নিয়ম মেনে চলুন।
- ব্রেনস্টর্মিং করুন: ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন ধারণা, আইডিয়া, রঙ প্যালেট ইত্যাদি নিয়ে ব্রেনস্টর্মিং করুন। স্কেচ তৈরি করুন।
- ডিজাইন তৈরি করুন: আপনার আইডিয়া অনুযায়ী নির্বাচিত সফটওয়্যারে ডিজাইন তৈরি করুন। বিভিন্ন টুল ও ফিচার ব্যবহার করুন।
- ফিডব্যাক নিন: আপনার ডিজাইন বন্ধু-বান্ধব বা ডিজাইনার সম্প্রদায়ে শেয়ার করে ফিডব্যাক নিন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করুন।
- ডিজাইন রেন্ডার করুন: চূড়ান্ত ডিজাইনটি প্রিন্ট বা ওয়েব জন্য সঠিক ফরম্যাটে রেন্ডার করুন।
গ্রাফিক ডিজাইন একটি চলমান প্রক্রিয়া। অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে আপনি ক্রমশ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। বিভিন্ন রেফারেন্স ও টিউটোরিয়াল দেখে নতুন টেকনিক শিখতে পারবেন।
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় কত
একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় নির্ভর করে বিভিন্ন উপাদান এবং পরিস্থিতির উপর। কিছু প্রধান বিষয় যা একজন ফ্রিল্যান্সারের আয়কে প্রভাবিত করে তা হলো: কর্মক্ষেত্র ফ্রিল্যান্সারের কাজের ধরন এবং খাত অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কপিরাইটিং, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যতো বেশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা একজন ফ্রিল্যান্সার অর্জন করবেন, তাঁর আয়ও ততটাই বেশি হবে।
সময় বরাদ্দ যদি একজন ফ্রিল্যান্সার পুরোসময় কাজ করেন তাহলে তার আয় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্রাহকের সংখ্যা ও আকার যতো বেশি গ্রাহক এবং বড় প্রকল্পের সাথে কাজ করবেন, আয়ও ততটাই বেশি হবে। অবস্থান বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য চাহিদা ও পারিশ্রমিকের হার আলাদা থাকতে পারে।
যদিও একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা কঠিন, তবুও বেশিরভাগ গবেষণা অনুযায়ী, একজন পুরোসময় অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারের মাসিক আয় $1,000 থেকে $10,000 এর মধ্যে হতে পারে। কিছু দক্ষ ও জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সারের আয় এর চেয়েও বেশি হতে পারে। সারাংশে, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আয় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং বাজারের চাহিদার উপর নির্ভরশীল।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কি টাকা ইনকাম করা যায়?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং করে কি টাকা ইনকাম করা যায় অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায় মাসে।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং হল একটি কর্মপদ্ধতি যেখানে একজন স্বাধীন অথবা স্ব-নিযুক্ত পেশাজীবী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত গ্রাহকদের জন্য প্রকল্পভিত্তিক কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সাররা স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে থাকেন এবং গ্রাহকদের সাথে চুক্তিভিত্তিক বিষয়ে কাজ করেন স্বাধীনতা ফ্রিল্যান্সাররা নিজেরাই নিজেদের সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারেন এবং কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়মকানুন মানতে বাধ্য থাকেন না ।বহুমুখী কাজ একজন ফ্রিল্যান্সার একাধিক গ্রাহকের জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কেন করব?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং কেন করব ফ্রিল্যান্সিং করব আমরা আমাদের দক্ষতাকে বাড়ানোর জন্য ইনকাম করার জন্য স্বাধীন ইনকাম করার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং করে কারো আন্ডারে কাজ করা লাগে না বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করা লাগে না এবং ঘুষ দিয়েও চাকরি নেয়া লাগে না । ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে আপনার নিজস্ব ইনকাম রাস্তা আপনি এখানে আপনি নিজেই আপনার বস । ফ্রিল্যান্সিং করব আরো অনেকগুলো কারণ আছে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষাদিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব কিন্তু বড় বড় ডিগ্রী নিয়ে কি সম্ভব না সম্ভব না।
প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা কি কি?
উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে, যেমন:
- নমনীয়তা: ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের সময় ব্যবস্থাপনা করতে পারেন এবং কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করতে পারেন যা তাদের জীবনধারার সাথে মানানসই হয়।
- অর্থনৈতিক স্বাধীনতা: ফ্রিল্যান্সাররা তাদের নিজস্ব মূল্যনির্ধারণ করতে পারেন এবং পছন্দমত প্রকল্পগুলি নির্বাচন করতে পারেন। এটি তাদের আর্থিক স্বাধীনতা প্রদান করে।
- উচ্চ আয়ের সুযোগ: অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে উচ্চ আয় করতে সক্ষম হন।
- কর্মক্ষেত্রের বৈচিত্র্য: ফ্রিল্যান্সাররা বিভিন্ন খাত এবং গ্রাহকদের সাথে কাজ করার সুযোগ পান। এটি তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে।
- কাজের আনন্দ: ফ্রিল্যান্সিং তাদের প্রিয় কাজগুলি করার এবং নিজেদের পছন্দের খাতে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে।
- অফিস/কর্মস্থলের খরচ বিনা: তারা অফিসে যাওয়া বা কাজের জায়গা ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, যা খরচ বাঁচায়।
- জীবনযাত্রার মান: ফ্রিল্যান্সাররা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতে পারেন এবং অন্যান্য বৈষয়িক কাজ করতে পারেন।
- দূরবর্তী কাজের সুযোগ: অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলি রিموটলি সম্পন্ন করা যায়, যা দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়।
যদিও চ্যালেঞ্জও রয়েছে, তবুও অনেকে ফ্রিল্যান্সিংকে একটি আকর্ষণীয় কর্মজীবন পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
লেখকের মন্তব্য
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব আমরা ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি অনেকবার অনেক জায়গায় শুনেছি।কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের জন্য হয়তো আমাদের কাজে আমরা কখনো এগোতে পারিনি । বা সফল হতে পারিনি ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষাধিক টাকা করা যায় আমরা হয়তো শুনেছি কিন্তু আমরা কি নিজে থেকে কখনো করার চেষ্টা করেছি । আসুন দেখে নেন আমার এই পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সার কিভাবে শিখবেন
পুরোটা আমি তুলে ধরেছি আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি করে জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করতে হয় । কিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় কিভাবে সাইনআপ করতে হয় কিভাবে গ্রাফিক্সের কাজ শিখতে হয় ফাইবারের কাজ কি upwork কি অনেক কিছু জানতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং জগতে যতগুলো ধাপ আছে আমি আমার এই পোষ্টের মধ্যে তুলে ধরেছি।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন জানেন আমরা কত পড়াশোনা করি বড় বড় ডিগ্রি নেই কিন্তু আমরা ঘুষ ছাড়া চাকরি করতে পারি না । আমাদের মামা চাচা খালু এরকম রেফার ছাড়া কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বলেন বা বেসরকারিতে বলেন জব পাওয়া পসিবল না । ছোট থেকে বড় পর্যন্ত কত পড়াশোনা করে কত টাকা-পয়সা খরচ করেও আমরা একটা চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরি আসুন দ্বারে দ্বারে ঘোড়া শেষ ।
আসুন ফ্রিল্যান্সিং শিখে কিভাবে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা যায় সেই গুলোতে আমরা মনোযোগ দিই।আমি আমার এই পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যতগুলো ধাপ আছে সবগুলো তুলে ধরেছি। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়লে ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url