১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন । জেনে আপনিও অবাক হবেন অল্প
পুঁজি নিয়ে শুরু করা ব্যবসা আপনি কি রকম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেন । কোন কোন
ব্যবসা করলে আপনি লাভবান হতে পারবেন দেখে নিন।
অল্প পুঁজি নিয়েও যে আগানো যায় সম্পর্কে আমার এই পোস্টটিতে আমি তুলে ধরেছি ।
কতগুলো ব্যবসা করে আপনারা লাভবান হতে পারবেন সবগুলো জানতে আমার সাথেই থাকুন। পুরো
পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন আশা করি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন
- অনলাইন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা করে আয়
- হোম কেয়ারিং সার্ভিস করে ইনকাম
- হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি করে ইনকাম
- গৃহস্থালী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সার্ভিস করে ইনকাম
- ব্লগিং ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম
-
ক্ষুদ্র রেস্টুরেন্ট খাবার বিক্রি করে ইনকাম
-
ফুলের বাগান ফুল বিক্রয় করে ইনকাম
-
সবজি বাগান সবজি বিক্রয় করে ইনকাম
- কক্সবাজার সুন্দরবনে ইকোটুরিজম গাইডিং করে ইনকাম
- ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে ইনকাম
- লেখক এর শেষ মন্তব্য
অনলাইন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা করে আয়
- সফটওয়্যার সাবস্ক্রিপশন: আপনি একটি ক্লাউডভিত্তিক ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন এবং মাসিক/বার্ষিক সাবস্ক্রিপশন চার্জ করতে পারেন। এটি একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হতে পারে।
- সেটআপ এবং প্রশিক্ষণ ফি: আপনি গ্রাহকদের জন্য ইনভেন্টরি সিস্টেম সেট আপ করে এবং ব্যবহার প্রশিক্ষণ দিয়ে একমুশո ফি আদায় করতে পারেন।
- কাস্টমাইজেশন এবং ইন্টিগ্রেশন সেবা: যদি গ্রাহকদের বিশেষ কাস্টমাইজেশন এবং অন্যান্য সফটওয়্যারের সাথে ইন্টিগ্রেশনের প্রয়োজন হয়, আপনি সেই সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন।
- ব্যবসা বৃদ্ধি সহায়তা: আপনি ইনভেন্টরি ডেটা বিশ্লেষণ এবং প্রতিবেদন প্রদান করে গ্রাহকদের স্টক ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারেন।
- ইনভেন্টরি অডিট সেবা: আপনি গ্রাহকদের ইনভেন্টরি অডিট করে এবং তাদের স্টক পরিচালনা উন্নত করতে পরামর্শ দিয়ে আয় করতে পারেন।
অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করা যায় এমন ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া:
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি করে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
1. ভিডিও ছায়াগ্রহণ ও সম্পাদনা সার্ভিস
2. অনলাইন ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা
3. ফুড ট্রাক/ফুড কার্ট
4. হিসাব বইয়ের ব্যবসা
5. হোম কেয়ারিং সার্ভিস
7. আউটসোর্সিং কল সেন্টার
8. হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রয়
9. ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার
10. কক্সবাজার/সুন্দরবনে ইকোটুরিজম গাইডিং
11. লাউন্ড্রি সার্ভিস
12. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা পণ্য বিক্রয়
13. ফুলের বাগান/ফুল বিক্রয়
14. সবজি বাগান/সবজি বিক্রয়
15. গৃহস্থালী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সার্ভিস
16. আপিস সাপ্লাই বিক্রয়
17. ইলেকট্রনিক্স রিপেয়ারিং
18. এজেন্ট/ফোরকাস্টিং সার্ভিস
19. টিউটরিং/গৃহশিক্ষক সার্ভিস
20. ক্ষুদ্র রেস্টুরেন্ট/খাবার বিক্রি
21. ড্রাইভিং ট্রেনিং সার্ভিস
22. রান্নাবান্না শেখানোর কোর্স
23. ইভেন্ট প্লানিং সার্ভিস
24. ফটোগ্রাফি সার্ভিস
25. ব্লগিং/ইউটিউব চ্যানেল
হোম কেয়ারিং সার্ভিস করে ইনকাম
হোম কেয়ারিং সার্ভিস একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সেবা দিয়ে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
আপনি গৃহস্থালীর বাসা বাড়ি পরিষ্কার করতে পারেন। বাসার ঘর, বারান্দা, টয়লেট ইত্যাদি পরিষ্কার করে প্রতিবার বা প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট চার্জ নিতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, ধোলাই সার্ভিস প্রদান করা যায়। অনেকে বাইরে থেকে পোশাক ধোলাই করাটা পছন্দ করেন। তাই আপনি কাপড়-চোপড় ধুয়ে শুকিয়ে গুছিয়ে দেওয়ার সেবা দিতে পারেন।
বাগান পরিচর্যার কাজও করা যায়। অনেক বাড় িতে বাগান থাকে। সেখানে আপনি গাছপালা, ফুল এবং ঘাস কাটার কাজ করে আয় করতে পারেন। চতুর্থত, পশুপাখি পরিচর্যা করা যেতে পারে। যদি বাড়ির মালিকের পোষা প্রাণী থাকে, তাদের খাবার দেওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি কাজ করে আয় করা সম্ভব।
বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীর যত্ন নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। অনেক পরিবারেই বৃদ্ধ এবং অসুস্থ রোগী থাকেন। আপনি তাদের খাওয়া-দাওয়া, যত্ন নেওয়া ইত্যাদিতে সহায়তা করে আয় করতে পারেন। ষষ্ঠত, বাড়ির রান্নাঘরে সহায়তা করা যায়। কর্মব্যস্ত পরিবারগুলোকে আপনি বাসায় রান্না করতে সহায়তা করে ফি নিতে পারেন। সপ্তমত, শপিং সহায়তা প্রদান করা যেতে পারে। অনেকেই বাজার কিনতে সহায়তা চান। আপনি তাদের জন্য কিনাকাটা করে চার্জ নিতে পারেন।
সুতরাং দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য হোম কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে আপনি উপরোক্ত সেবাগুলো প্রদান করে ভালো আয় করতে পারবেন।
হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি করে ইনকাম
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রি করে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
- হস্তশিল্প পণ্য তৈরি ও বিক্রয়: আপনি বিভিন্ন হস্তশিল্প পণ্য যেমন- নেকলেস, চুড়ি, বরতা, থ্রি পালা, পুতুল, ঝুড়ি, ব্যাগ ইত্যাদি তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন।
- ঐতিহ্যবাহী পণ্যের বাজারজাতকরণ: আপনার এলাকার ঐতিহ্যবাহী হাতশিল্প পণ্য যেমন- নকশী কাঁথা, মৌচাক শিল্প, ক্রচেট, আঁটি কাজ ইত্যাদি সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে পারেন।
- কমিশন বিক্রয়: আপনি অন্যান্য হস্তশিল্পী বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য কমিশন বিক্রয় করতে পারেন। এতে আপনার বিক্রয়ের উপর কমিশন পাবেন।
- হাতের কাজের উপকরণ বিক্রয়: হস্তশিল্প পণ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন- সূতা, কাঁথা, বোনা, রং, ঝুরি মেশিন ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
- ওয়ার্কশপ/প্রশিক্ষণ: আপনি বিভিন্ন হস্তশিল্প কাজ শেখানোর ওয়ার্কশপ বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে ফি নিতে পারেন।
- ব্র্যান্ডিং ও প্রচারণা: আপনার হাতের কাজের পণ্যগুলো ব্রাণ্ডিং এবং সঠিক প্রচারণার মাধ্যমে অনলাইন ও অফলাইনে বিক্রি বাড়াতে পারেন।
- মেলা/প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ: বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে আপনি হাতের কাজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
সুতরাং হাতের কাজের সামগ্রী বিক্রির মাধ্যমে আপনি ভালো আয় করতে পারেন যদি আপনি নৈপুণ্য, নৈতিকতা এবং মার্কেটিং দক্ষতার সাথে এগিয়ে যান।
গৃহস্থালী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সার্ভিস করে ইনকাম
গৃহস্থালী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সার্ভিস একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সেবা প্রদান করে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
আপনি গ্রাহকদের বাসা বাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করে দিতে পারেন। ঘর, বাথরুম, রান্নাঘর, বারান্দা ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিবার বা প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট চার্জ নিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ধোলাই সার্ভিস দিতে পারেন। অনেকে বাইরের লন্ড্রিতে কাপড়-চোপড় ধোয়ানোকে পছন্দ করেন। তাই আপনি ধোলাই সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।
বাগান পরিচর্যার কাজ করতে পারেন। অনেক বাড়িতেই বাগান থাকে। সেখানে গাছপালা, ফুল এবং ঘাস কাটার কাজ করে আপনি আয় করতে পারেন। চতুর্থত, পশুপাখি পরিচর্যার সেবা দিতে পারেন। যদি গ্রাহকের পোষা প্রাণী থাকে, তাদের খাবার দেওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে সহায়তা করতে পারেন।
বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগীর যত্ন নেওয়ার সেবা দিতে পারেন। অনেক পরিবারে বৃদ্ধ এবং অসুস্থ রোগী থাকেন। আপনি তাদের খাওয়া-দাওয়া, পরিচর্যা করতে সহায়তা করে ফি নিতে পারেন। ষষ্ঠত, বাড়ির রান্নাঘরে সহায়তা দিতে পারেন। কর্মব্যস্ত পরিবারগুলোকে আপনি বাসায় খাবার রান্না করতে সাহায্য করে চার্জ নিতে পারবেন।
শপিং সহায়তার সেবা প্রদান করতে পারেন। অনেকেই কিনাকাটার জন্য সহায়তা চান। আপনি তাদের জন্য বাজার করে দিয়ে ফি নিতে পারেন। এভাবে আপনি দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য হোম কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে এই সেবাগুলো দিয়ে ভাল আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম
ব্লগিং এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
- গুগল এডসেন্স: আপনার ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স এড জুড়তে পারেন। পাঠকরা যখন এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখবেন বা ক্লিক করবেন, তখন আপনি আয় করবেন।
- স্পন্সরড কনটেন্ট: আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের স্পন্সরড কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং সেগুলোর জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারেন।
- অ্যাডভারটরাইজিং: যদি আপনার একটি বড় অনুসরণকারী পরিষেবা পাওয়া যায়, তাহলে আপনি অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করতে পারেন।
- পণ্য প্রচার: যদি আপনি নিজেই কোন পণ্য বিক্রি করেন, আপনি সেই পণ্য সমূহ ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করতে পারেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অন্যান্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা বিক্রির জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেন এবং যখনই কোনও বিক্রয় হবে, আপনি কমিশন পাবেন।
- সাবস্ক্রিপশন: যদি আপনার অনেক অনুসরণকারী থাকে, তাহলে আপনি একটি সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পেমেন্ট মডেল তৈরি করতে পারেন।
- ভিআইপি কোর্স/ইভেন্ট: আপনি ভিআইপি কোর্স বা ইভেন্টের জন্য অর্থ আদায় করতে পারেন।
- মার্চেণ্ডাইজিং: আপনার ব্র্যান্ডের গামেন্ট, স্টিকার এবং অন্যান্য আইটেম বিক্রি করতে পারেন।
ফুলের বাগান ফুল বিক্রয় করে ইনকামসুতরাং যদি আপনি ভাল কন্টেন্ট তৈরি করেন এবং নিয়মিত প্রচার করেন, তাহলে ব্লগিং এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপনি ভাল আয় করতে পারবেন।
ক্ষুদ্র রেস্টুরেন্ট খাবার বিক্রি করে ইনকাম
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া ক্ষুদ্র রেস্টুরেন্ট বা খাবার বিক্রি ব্যবসা থেকে আপনি নিম্নোক্ত উপায়ে আয় করতে পারেন:
- মূল খাবার বিক্রি: আপনার রেস্টুরেন্টের মূল আয়ের উৎস হবে আপনার নিজস্ব তৈরি খাদ্য পণ্য বিক্রি করা। নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করে আয় করতে পারবেন।
- ডেলিভারি সার্ভিস: আজকাল অনলাইন ফুড ডেলিভারি খুবই জনপ্রিয়। আপনি একজন ডেলিভারি এজেন্ট নিয়োগ করে বা স্থানীয়ভাবে অর্ডার গ্রহণ করে ডেলিভারি সার্ভিস দিতে পারেন। এতে আয় বৃদ্ধি পাবে।
- ক্যাটারিং সার্ভিস: স্থানীয় অনুষ্ঠান যেমন-পিকনিক, বিয়ে-শাদি, জন্মদিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে খাবার সরবরাহ করতে পারেন। এর জন্য আলাদা ক্যাটারিং প্যাকেজ প্রস্তুত রাখুন।
- বিশেষ অফার/ডিস্কাউন্ট: বিভিন্ন সময় বিশেষ অফার বা ডিস্কাউন্ট প্রদান করে গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পারেন। যেমন- কর্মদিবসের ডিস্কাউন্ট, ছাত্র/শিক্ষক ছাড় ইত্যাদি।
- সাইড আইটেম বিক্রি: খাবারের পাশাপাশি আপনি বেভারেজ, চকলেট, আইসক্রিম, পিজ্জা ইত্যাদি সাইড আইটেম বিক্রি করতে পারেন।
- আউটলেট প্রসার: সম্ভব হলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় আপনার খাবারের আউটলেট/শাখা খুলতে পারেন। এতে বিক্রি বাড়বে।
- অতিথি অভিজ্ঞতা উন্নয়ন: সেবার মান, পরিবেশগত অভিজ্ঞতা এবং খাবারের গুণগত মান রক্ষা করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন।
সুষম ব্যবস্থাপনা, মানসম্মত পণ্য, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং চমৎকার সেবার মাধ্যমে আপনার ক্ষুদ্র রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো আয় করা সম্ভব।
ফুলের বাগান ফুল বিক্রয় করে ইনকাম
ফুলের বাগান এবং ফুল বিক্রয় করে আপনি নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে আয় করতে পারেন:
আপনি নিজের বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করে সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। গোলাপ, জবা, গান্ধারী, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি ফুলের চাষ করে স্থানীয় বাজারে বা রাস্তার পাশে দোকান করে বিক্রি করা যায়। দ্বিতীয়ত, আপনি বড় আঁটিবাজারে ফুল সরবরাহ করতে পারেন। এতে বড় পরিমাণে বিক্রি হওয়ায় আপনার আয়ও বেশি হবে।
আপনি বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন- বিবাহ, জন্মদিন, পিকনিক ইত্যাদিতে ক্যাটারিং সেবা প্রদান করতে পারেন। বিভিন্ন স্থানে বাকেট, তোড়া, মালা ইত্যাদি সাজিয়ে সরবরাহ করে আয় করতে পারেন। চতুর্থত, ফুল দিয়ে বিভিন্ন হ্যান্ডিক্রাফট আইটেম যেমন- পরিচ্ছদ, ঝুড়ি, চুড়ি ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করা যায়।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফুল বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেন। ষষ্ঠত, ফুল চাষ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা আয়োজন করে ফি গ্রহণ করতে পারেন। সপ্তমত, ফুলের বীজ ও চারা বিক্রি করা যেতে পারে। এছাড়াও আপনি নিজের বাগানকে টুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে ভ্রমণকারীদের আনতে পারেন।
সুতরাং ফুলের বাগান এবং ফুল বিক্রয় থেকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে উপার্জন করতে পারেন। তবে এর জন্য আপনাকে মেহনতি হতে হবে এবং বাজার ও গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে হবে।
সবজি বাগান সবজি বিক্রয় করে ইনকাম
সবজি বাগান এবং সবজি বিক্রি করে আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে আয় করতে পারেন:
- স্থানীয় বাজারে বিক্রি: আপনি আপনার বাগান থেকে উৎপাদিত সবজি স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারেন। গ্রাহকরা সরাসরি চাষীর কাছ থেকে সবজি কিনতে পছন্দ করেন।
- সরাসরি বিক্রি: আপনি একটি স্টল বা দোকান খুলে আপনার বাগান থেকে সবজি সরাসরি বিক্রি করতে পারেন। আপনার নিজস্ব সরাসরি বিক্রির জায়গা থাকলে আপনি সহজেই প্রচার করতে পারবেন।
- ডোর-টু-ডোর ডেলিভারি: আপনার বাগান থেকে তাজা সবজি সরাসরি গ্রাহকদের বাড়ি পৌঁছে দিতে পারেন। একটি অনলাইন অর্ডার গ্রহণ সিস্টেম তৈরি করুন এবং খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করুন।
- সাপ্লায়ার হিসাবে সরবরাহ: আপনি স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আপনার সবজি সরবরাহ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি পাইকারি মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন।
- ক্যাটারিং সার্ভিস: আপনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবজি সরবরাহ করতে পারেন, যেমন রেস্টুরেন্ট, পিকনিক স্পট ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে আলাদা চুক্তির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা যায়।
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস: আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলিতে আপনার সবজি বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে আপনার পণ্যের বাজার বেড়ে যাবে।
- সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ: আপনি আপনার সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ করে অর্থাৎ আচার, মুরব্বা, জ্যাম ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সুতরাং উচ্চ মানের সবজি উৎপাদন, ভালো প্যাকেজিং এবং বিপণন করলে আপনি সবজি বাগান থেকে ভালো আয় করতে পারবেন।
কক্সবাজার সুন্দরবনে ইকোটুরিজম গাইডিং করে ইনকাম
- গাইডেড টুর প্যাকেজ: আপনি বিভিন্ন প্যাকেজের গাইডেড টুর পরিচালনা করতে পারেন। যেমন- একদিনব্যাপী, দুই/তিন দিনের বা সপ্তাহব্যাপী ট্রেকিং/জিপ সফর ইত্যাদি। প্রতিটি টুরের জন্য গাইডিং ফি নির্ধারণ করুন।
- স্পেশালাইজড টুর: আপনি বর্ড ওয়াচিং, ফটোগ্রাফি, নৈসর্গিক অভযারণ্য ভ্রমণ ইত্যাদি স্পেশালাইজড টুরের ব্যবস্থা করতে পারেন। পাশাপাশি আদিবাসী কালচারের উপর ভিত্তি করে টুর প্ল্যান করা যায়।
- একামাত্র সফর সঙ্গী: অনেক ভ্রমণকারী একা থাকতে চান। আপনি তাদের জন্য একক গাইড হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং ভাল পারিশ্রমিক নিতে পারেন।
- রেন্টাল সার্ভিস: আপনি ভ্রমণকারীদের জন্য জিপ, সাইকেল, ক্যামেরা ইত্যাদি রেন্টাল সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।
- লজিস্টিক সাপোর্ট: আপনি ভ্রমণকারীদের জন্য হোটেল/রিসোর্টের বুকিং, ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে পারেন। এর জন্য কমিশন পাবেন।
- ফটোগ্রাফি/ভিডিওগ্রাফি: আপনি ভ্রমণকারীদের জন্য ফটো/ভিডিও সেশন এর ব্যবস্থা করে বিক্রি করতে পারেন।
- সুভেনির তৈরি/বিক্রি: স্থানীয় হস্তশিল্প দিয়ে সুভেনির তৈরি করে বা সংগ্রহ করে বিক্রি করতে পারেন।
- ব্লগিং/ইউটিউব চ্যানেল: ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগিং বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে বিজ্ঞাপন/সাবস্ক্রাইব থেকে আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আপনি নিম্নোক্ত উপায়ে আয় করতে পারেন:
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করা: আপনি উপলব্ধ্য, ফাইভার, ফ্রিল্যান্সার.কম এমন বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেবা প্রদান করতে পারেন। এখানে নতুন প্রজেক্ট খুঁজে পারিশ্রমিক আয় করা যায়।
- ডান্ড্রাচিত চুক্তিভিত্তিক কাজ: আপনার পরিচিত বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাথে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে পারেন।
- ব্রান্ডিং এবং লোগো ডিজাইন: আপনি নতুন ব্যবসা বা ব্রান্ডের লোগো, স্ট্যাশনারি এবং ব্র্যান্ডিং সামগ্রী তৈরি করতে পারেন।
- ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন: আপনি ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ইউএক্স/ইউআই ডিজাইন করতে পারেন।
- ইভেন্ট ও গ্রাফিকস ডিজাইন: বিভিন্ন ইভেন্ট এবং অনুষ্ঠানের জন্য ব্যানার, পোস্টার এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন।
- ইলাস্ট্রেশন সার্ভিস: আপনি বিভিন্ন বুক, ম্যাগাজিন বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য ইলাস্ট্রেশন করতে পারেন।
- মার্চেন্ডাইজিং এবং প্রিন্ট ডিজাইন: টি-শার্ট, পরিচ্ছদ, ম্যাগ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গীয় সামগ্রীর ডিজাইন করতে পারেন।
- গ্রাফিক্স এমন্ডমেন্ট সার্ভিস: আপনি অন্যদের ছবি সম্পাদনা, রিটাচিং এবং এমন্ডমেন্ট সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।
সুতরাং দক্ষতা, নৈপুণ্য এবং যথাযথ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয় করতে পারবেন।
লেখক এর শেষ মন্তব্য
১০ হাজার টাকায় ২৫ টা ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন আমার এই পোস্টটি পড়ে । আশা
করি আমার এই পোস্টটিতে যে বিষয়গুলোতে আপনাদেরকে জানানো হয়েছে এই মোতাবেক
কাজ করলে আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন । খুব অল্প পুজি নিয়েও যে ভালো
লাভবান হওয়া যায় ব্যবসা করে সেই বিষয়ে আলোচনা করেছি।
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে যেটা আপনি আগে জানতেন না সেটা জানতে পেরেছেন । আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url