প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে নিন

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে নিন আমরা কত রকম ভাবে apps দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারি । সেই সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন।

ফটোগ্রাফি অ্যাপস আয় করার উপায়

আমরা দৈনন্দিন জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু ইনকাম পথ খুঁজি কিন্তু আমরা সঠিক পথ পাই না। আসুন জেনে নেই ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন কিভাবে ইনকাম করা যায় সে সকল অ্যাপস সম্বন্ধে জানতে নিম্নে দেওয়া তথ্য গুলো পরুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 

দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম apps 

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় নিম্নলিখিত অ্যাপগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

  • ফটোগ্রাফি অ্যাপস: আপনি যদি ভাল ফটোগ্রাফি করতে পারেন, তাহলে Shutterstock, iStockPhoto ইত্যাদি মতো স্টক ফটো সাইটে আপনার ছবি বিক্রি করতে পারেন।
  • ভিডিও সংক্রান্ত অ্যাপস: YouTube, Vimeo বা অন্যান্য প্লাটফর্মে আপনার নিজস্ব ভিডিও আপলোড করে আপনি আয় করতে পারেন।  
  • ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস: Fiverr, Upwork ইত্যাদি মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন, কপিরাইটিং, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি কাজ করে আয় করতে পারেন।
  • অনলাইন সরভে অ্যাপস: Swagbucks, Survey Junkie ইত্যাদি অ্যাপে অংশগ্রহণ করে আপনি সামান্য আয় করতে পারেন।
  • ব্লগিং অ্যাপস: WordPress বা Blogger এর মতো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে নিজের ব্লগ তৈরি করে আপনি বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল পাকতে কতদিন সময় লাগে 

এছাড়াও রয়েছে ইউটিউব স্পনসরড ভিডিও, অনলাইন টিউটোরিং, ওয়েবসাইট টেস্টিং ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়। তবে মনে রাখবেন, দৈনিক ৫০০ টাকা আয় করতে প্রচুর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা প্রয়োজন।

ফটোগ্রাফি অ্যাপস

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় ফটোগ্রাফির জন্য অনেক ভাল অ্যাপস আছে যা আপনার ছবি নেওয়ার এবং সম্পাদনা করার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে পারে। এখানে কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপসের তালিকা রইল:

  • Snapseed (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): Google-এর এই অ্যাপটি নিশ্চয়ই অন্যতম সেরা ছবি সম্পাদনা অ্যাপ। এটিতে রয়েছে বিভিন্ন টুল যেমন ক্রপ, ট্যুন ইমেজ, হিলস-এর মতো প্রোফেশনাল গ্রেড কালার সম্পাদনা সুবিধা।
  • VSCO (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): VSCO হল ফিল্টার এবং প্রিসেট ইফেক্টের জন্য খুব জনপ্রিয় অ্যাপ। এটিতে রয়েছে চমৎকার প্রিসেট যা আপনার ছবিকে অন্যরকম আকর্ষণীয় করে তুলবে। 
  • Adobe Lightroom (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): Adobe Lightroom হল অন্যতম সেরা প্রফেশনাল ফটো এডিটিং অ্যাপ। এটিতে রয়েছে বেশ কিছু এডভান্সড টুল যেমন কালার গ্রেডিং, কার্ভ, সিলেক্টিভ এডিটিং ইত্যাদি।
  • Prisma (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): Prisma হল একটি ফিল্টার অ্যাপ যাতে বিভিন্ন শৈলীর আর্ট ফিল্টার রয়েছে। এটি আপনার ছবিকে আর্টওয়ার্ক এর মতো দেখাবে।
  • Foodie (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): খাবারের ছবি নেওয়ার জন্য Foodie অ্যাপটি অনেকই পছন্দ করেন। এতে রয়েছে খাদ্য বিষয়ক বিশেষ ফিল্টার এবং সম্পাদনা টুল।
প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় জেনে নিন

এছাডাও আরও অনেক ভাল অ্যাপস রয়েছে যেমন Enlight, PicSay Pro, PhotoDirector, Afterlight ইত্যাদি। আপনার চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী এগুলো থেকে পছন্দের অ্যাপগুলো বেছে নিতে পারেন।

ভিডিও সংক্রান্ত অ্যাপস গুলো জেনে নিন

ভিডিও সম্পর্কিত কাজের জন্য নিম্নলিখিত কিছু জনপ্রিয় অ্যাপস রয়েছে:

ভিডিও এডিটিং অ্যাপস:

  • ভিডিও লিয (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): একটি প্রফেশনাল গ্রেড ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যাতে রয়েছে বিশাল সংখ্যক টুলস যেমন মাল্টি-ট্র্যাক টাইমলাইন, ফিল্টার, ট্রানজিশন ইফেক্ট, সাবটাইটেল এবং আরো অনেক কিছু।  
  • কিনিমাস্টার (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): আরেকটি জনপ্রিয় ভিডিও এডিটর যাতে স্লো মোশন, রিভার্স ইফেক্ট, ব্লার ইফেক্ট, ফিল্টার ইত্যাদি রয়েছে।
  • VLLO (অ্যান্ড্রয়েড): একটি ভাল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ যার মধ্যে রয়েছে এডভান্সড কালার করেকশন, স্লো মোশন, রিভার্স প্লেব্যাক, একাধিক ভিডিও লেয়ার এবং অনেক সম্পাদনা সুবিধা।

এনিমেশন ভিডিও অ্যাপস:  

  • StopMotion Studio (অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস): স্টপ মোশন অ্যানিমেশন তৈরি করার জন্য বিশেষ অ্যাপ। এটা দিয়ে ইমেজগুলোকে ক্রমবদ্ধভাবে রেকর্ড করে ছোট অ্যানিমেশন তৈরি করা যায়।
  • Stop Motion Studio Pro (অ্যান্ড্রয়েড): অন্যতম জনপ্রিয় স্টপ মোশন অ্যানিমেশন অ্যাপ যাতে রয়েছে এডভান্সড টাইমলাইন এডিটিং এবং অ্যাউডিও সাপোর্ট।

ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপস: 

ইউটিউব, ওয়েবভিসি, টুয়িচ, টুইটার - এই জাতীয় অ্যাপগুলো ব্যবহার করে প্লাটফর্মগুলোতে লাইভ ভিডিও স্ট্রিম করা যায়।

ভিডিও ডাউনলোডার অ্যাপস:

 ভিডম্যাট (অ্যান্ড্রয়েড), ডকুমেন্টস (আইওএস) - এই রকম ডাউনলোডার অ্যাপগুলো দিয়ে ইউটিউব বা অন্যান্য সাইট থেকে সহজেই ভিডিও ডাউনলোড করা যায়।
এছাডাও রয়েছে ভিডিও প্লেয়ার, মিউজিক ভিডিও তৈরির অ্যাপস ইত্যাদি। আপনার প্রয়োজন অনুসারে উপযুক্ত অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ফটোগ্রাফি অ্যাপস আয় করার উপায়

ছবি তোলা ও বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে নিম্নলিখিত ফটোগ্রাফি অ্যাপগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

  • Shutterstock: এটি একটি বিখ্যাত স্টক ফটো সাইট যেখানে আপনি নিজের তোলা ছবি আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি ছবির জন্য রয়েছে রয়্যালটি সুবিধা।
  • iStockPhoto: গেটি ইমেজের অংশ এই সাইটে আপনি ছবি আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন। রয়েছে ভাল মাত্রার রয়্যালটি সুবিধা।
  • Adobe Stock: এটি ফটোগ্রাফারদের জন্য একটি ভাল মার্কেটপ্লেস। এখান থেকে প্রতি বিক্রীর ছবির জন্য 33% রয়্যালটি পাবেন।
  • Foap: সাধারণ মানুষদের তোলা ছবি বিক্রির জন্য এই অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। যেকোনো ধরনের ছবি আপলোড করা যায়।
  • EyeEm: এটি একটি ফটো সেলিং অ্যাপ যেখানে আপনি নিজের ছবি আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেসে বেশ জনপ্রিয়।  
  • Alamy: এটিও একটি জনপ্রিয় স্টক ফটো সাইট যেখানে ব্যবসায়িক ও বেসরকারি প্রয়োজনে ছবি বিক্রি হয়।

এসব অ্যাপে নিয়মিত ভাল মানের ছবি আপলোড করলে সময়ের সাথে সাথে আপনি উপার্জন বৃদ্ধি করতে পারবেন। শুধু চেষ্টা করতে হবে নিজের ধারণা ও দক্ষতার উন্নতি ঘটাতে।

ভিডিও সংক্রান্ত অ্যাপস  টাকা ইনকাম

ভিডিও আপলোড করে আয় করার জন্য নিম্নলিখিত অ্যাপ/প্ল্যাটফর্মগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

  • YouTube: এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। YouTube এ নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে এবং সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি করে আপনি Google AdSense থেকে বিজ্ঞাপন রেভেনিউ আয় করতে পারবেন।
  • Vimeo: এটি YouTube এর মতোই একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। এখানে ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি সাবস্ক্রাইব, রেন্ট এবং বিক্রি অপশনও রয়েছে যা থেকে আয় করা যায়।
  • Facebook: আপনি আপনার ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করতে পারেন এবং ভিউ এর উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন রেভেনিউ পাবেন। 
  • TikTok: এটি এখন খুব জনপ্রিয় একটি শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি ভিডিও আপলোড করে বিভিন্ন ব্রান্ডের সাথে জড়িত হয়ে আয় করতে পারবেন।
  • Twitch: এটি গেমিং ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। আপনি গেমিং ভিডিও স্ট্রিম করতে পারেন এবং সাবস্ক্রাইবার ও দাতব্য থেকে আয় করতে পারবেন।
  • DailyMotion: এটিও একটি জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হয় আর আপনি তার উপর আয় করতে পারেন।

তবে মনে রাখবেন, সফল হতে গুণগত মানসম্পন্ন এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার আকর্ষণ করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড এবং সামাজিক প্রচারও জরুরী।

ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস আয় করার উপায়

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য নিম্নলিখিত জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

Upwork: এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি রাইটিং, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি এবং আরও অনেক ধরনের কাজ পেতে পারবেন।

Fiverr: এটি ছোট আকারের কাজ বা গিগ-এর জন্য জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি লোগো ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কোডিং এবং আরও অনেক ধরনের কাজ করতে পারেন।

Freelancer: Upwork এর মতোই এটি একটি বৃহৎ ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখান থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে বিড করে আপনি কাজ পেতে পারেন।

PeoplePerHour: এটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে আপনি ঘন্টা ভিত্তিক কাজ পেতে পারবেন।  

Toptal: এটি উচ্চ-মানের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি প্রিমিয়াম সাইট। এখান থেকে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

Truelancer: এটি দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভারতীয় একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।

এছাড়াও Guru, 99Designs, Dribble ইত্যাদি অ্যাপগুলিও আয় করার জন্য কাজ দিতে পারে। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও নিয়মকানুন আছে। পছন্দ ও দক্ষতা অনুযায়ী উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া উচিত। দক্ষতা, সময় ও অধ্যবসায়ের সাথে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপস  দিয়ে টাকা ইনকাম

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় অনলাইন সার্ভে করে আয় করার জন্য নিম্নলিখিত জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

  • Swagbucks: এটি একটি প্রসিদ্ধ রিওয়ার্ডস অ্যাপ যেখানে আপনি সার্ভে, গেম খেলা, শপিং এবং অন্যান্য অ্যাকটিভিটি করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। পরবর্তীতে এই পয়েন্টগুলি গিফট কার্ড বা নগদ অর্থে রূপান্তরিত করা যায়।
  • Survey Junkie: এটি শুধুমাত্র সার্ভে অ্যাপ। এখানে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী সার্ভে গুলি করতে পারবেন এবং পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন যা পরবর্তীতে নগদে রূপান্তরিত হবে।
  • InboxDollars: এই অ্যাপে আপনি সার্ভে, ওয়েবসাইট রিভিউ এবং অন্যান্য অ্যাকটিভিটি করে ডলার আয় করতে পারবেন। নতুন সদস্যদের জন্য সাইন-আপ বোনাসও রয়েছে।
  • MyPoints: এটি একটি পুরনো রিওয়ার্ডস সাইট যেখান থেকে আপনি সার্ভে, গেমস খেলা, শপিং এবং অন্যান্য কার্যকলাপ করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।
  • Toluna: এটি একটি বিশ্বব্যাপী সার্ভে সাইট যেখানে আপনি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে পয়েন্ট পাবেন যা পরে নগদে রূপান্তরিত করা যায়।
  • LifePoints: এটি একটি জনপ্রিয় সার্ভে অ্যাপ যেখানে আপনি প্রশ্নপত্র পূরণ করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন।

এছাড়াও Ipsos i-Say, Opinion World, Survey Savvy ইত্যাদিও জনপ্রিয় সার্ভে অ্যাপ। তবে মনে রাখবেন, এসব থেকে ভাল আয় করতে সময় ও অধ্যবসায় প্রয়োজন। একাধিক অ্যাপ ব্যবহার এবং প্রতিদিন কয়েকটি সার্ভে করলেই আয় বৃদ্ধি পাবে ধীরে ধীরে।

ব্লগিং অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম

ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য নিম্নলিখিত জনপ্রিয় অ্যাপ/প্ল্যাটফর্মগুলি বিবেচনা করতে পারেন:

  • WordPress.com: এটি ওয়েব ও মোবাইলে ব্লগিং এর জন্য একটি জনপ্রিয় পরিষেবা। এখানে আপনি নিজের ব্লগ খুলতে এবং বিভিন্ন প্রিমিয়াম থীম ও প্লাগইন ব্যবহার করতে পারবেন। বিজ্ঞাপন ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।
  • Blogger.com (Blogspot): Google এর এই ফ্রী ব্লগিং পরিষেবা ব্লগারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এখানে আপনি ব্লগ খুলতে পারবেন এবং Google AdSense ইন্টিগ্রেট করে বিজ্ঞাপন রেভেনিউ আয় করতে পারবেন।
  • Medium.com: এটি একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম যেখানে আপনি নিজের লেখা শেয়ার করতে এবং পাঠক সংগ্রহ করতে পারবেন। এখান থেকে লেখা শেয়ারিং এবং সাবস্ক্রাইব থেকে আয় করা যায়।
  • Wix.com: এটি এক ওয়েবসাইট বিলডার যার মাধ্যমে আপনি ভাল ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এখান থেকে বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য উপায়ে আয় করা যায়।
  • Substack.com: এটি একটি জনপ্রিয় সাবস্ক্রিপশন ন্যাসলেটার পরিষেবা। এখানে ন্যাসলেটার লেখকরা তাদের পাঠক থেকে প্রতি মাসে অর্থ আদায় করতে পারে। 
  • Quora: এই জনপ্রিয় প্রশ্ন-উত্তর সাইটে লেখক হিসেবে অংশগ্রহণ করে ভাল জনপ্রিয়তা অর্জন করা গেলে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থা থেকে অর্থ আয় করা সম্ভব।

তবে মনে রাখবেন, ব্লগিং থেকে আয় করতে মূল প্রয়োজন হল উচ্চ মানের কনটেন্ট তৈরি করা এবং নিয়মিত লেখা। পরিশ্রম এবং সময়ের সাথে সাথে ব্লগিং থেকে আয় ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।

ব্লগিং অ্যাপস দিয়ে টাকা ইনকাম

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় আয় করার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি মোবাইল অ্যাপ বিবেচনা করতে পারেন:

  • Swagbucks: এটি একটি পপুলার রিওয়ার্ড অ্যাপ যেখানে আপনি সার্ভে করে, গেমস খেলে, শপিং করে পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন এবং সেগুলি নগদ অর্থে রূপান্তর করতে পারবেন।
  • Survey Junkie: এই অ্যাপটি আপনাকে বিভিন্ন সার্ভে করার সুযোগ দেবে এবং আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন যা পরবর্তীতে নগদে রূপান্তরিত হবে।
  • GigWalk: এটি একটি অ্যাপ যেখানে আপনি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ছোট কাজ করতে পারবেন যেমন- ছবি তোলা, দাম পরীক্ষা করা ইত্যাদি এবং এর বিনিময়ে অর্থ পাবেন।
  • Field Agent: এই অ্যাপটি আপনাকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সহজ কাজগুলি করার সুযোগ দেবে যার বিনিময়ে আপনি অর্থ পাবেন।
  • Ibotta: এটি একটি রিবেট অ্যাপ যেখানে আপনি কিছু পণ্য কিনলে রিবেট পাবেন। দৈনিক ব্যবহারিক পণ্য কিনে আপনি এই অ্যাপ থেকে আয় করতে পারবেন।
  • তবে মনে রাখবেন, দৈনিক ৫০০ টাকা আয় করতে এসব অ্যাপে সময় ও পরিশ্রম দিতে হবে। একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করলেই এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

Swagbucks

  • Swagbucks একটি জনপ্রিয় রিওয়ার্ড অ্যাপ যা আপনাকে বিভিন্ন কাজ করার বিনিময়ে পয়েন্ট দেয়, যা পরবর্তীতে নগদ অর্থে রূপান্তরিত করা যায়। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে আয় করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:
  • সার্ভে পূরণ: Swagbucks এ বিভিন্ন কোম্পানির সার্ভে পূরণ করলে আপনি পয়েন্ট পাবেন। সার্ভেগুলি সাধারণত পণ্য ও সেবা সম্পর্কিত।
  • গেম খেলা: Swagbucks এ বিভিন্ন অনলাইন গেম খেললে পয়েন্ট পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাশ গেমস যেখানে প্রকৃত অর্থও জেতা যায়।
  • কদ্দমি করা: Swagbucks এর মোবাইল অ্যাপটি ইন্সটল করে আপনি প্রতিদিন প্রমোকোড ব্যবহার করা এবং কদ্দমি করার মাধ্যমেও পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। 
  • ওয়েবসাইট সার্চ: Swagbucks এর নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করলেও পয়েন্ট পাওয়া যায়।
  • অনলাইন শপিং: Swagbucks এর অংশীদার স্টোরগুলি থেকে কেনাকাটা করলে শপিং রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।  
  • স্পনসরড অফার সম্পূর্ণ করা: স্পনসরদের প্রদত্ত বিভিন্ন অফার সম্পূর্ণ করলেও পয়েন্ট পাওয়া যায়।

পয়েন্ট সংগ্রহের পর সেগুলিকে Swagbucks এর রিওয়ার্ড স্টোরে নগদ অর্থ, গিফট কার্ড বা প্রোডাক্টে রূপান্তর করা যায়। অর্থাৎ সময় ও পরিশ্রম দিলে Swagbucks থেকে প্রকৃত আয় করা সম্ভব।

Survey Junkie

  • Survey Junkie একটি জনপ্রিয় অনলাইন সার্ভে পরিষেবা যার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সার্ভে পূরণ করে আয় করতে পারবেন। এটি ব্যবহার করে আয় করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:
  • সার্ভে পূরণ: এটি Survey Junkie থেকে আয়ের প্রাথমিক উপায়। আপনি এখানে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে মতামত জরিপ পূরণ করতে পারবেন। প্রতিটি সার্ভের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট পাবেন।
  • প্রোফাইল সম্পূর্ণ করা: আপনার প্রোফাইলটি যতটা সম্পূর্ণ থাকবে, ততই আপনাকে সার্ভে অফার করা হবে। প্রোফাইল সম্পূর্ণ করলেও পয়েন্ট পাওয়া যায়।
  • রেফারেল বোনাস: আপনি যদি নতুন সদস্য নিয়োগ করেন, তাহলে রেফারেল বোনাসও পাবেন।
  • বিশেষ অফার: Survey Junkie মাঝে মাঝে বিশেষ অফারও দেয়, যেমন অতিরিক্ত পয়েন্ট উপার্জন করার সুযোগ।
  • Survey Junkie তে পয়েন্ট জমা হলে সেগুলিকে নগদ অর্থে বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়। প্রতি 1000 পয়েন্ট = $10। অর্থাৎ দ্রুত পয়েন্ট সংগ্রহ করলে এটি একটি ভাল আয়ের উৎস হতে পারে। 

তবে মনে রাখবেন, Survey Junkie থেকে বেশি আয় করতে অনেক সময় ও অধ্যবসায় প্রয়োজন। একাধিক সার্ভে সাইট ব্যবহার করলে আরও ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।

GigWalk 

GigWalk একটি মোবাইল অ্যাপ যা আপনাকে আশেপাশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছোট কাজগুলি করার সুযোগ দেয় এবং এর বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করে। এটি একটি 'গিগ ইকোনমি' মডেল যেখানে আপনি নানা ধরনের অল্প সময়ের কাজ বা 'গিগ' নিতে পারবেন। GigWalk থেকে আয় করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:

  • ছবি তোলা: অনেক সময় কোনো ব্র্যান্ডকে দোকানের শো-রুম বা প্রোডাক্ট ডিসপ্লের ছবি প্রয়োজন হয়। আপনি এই কাজটি নিয়ে ছবি তুলে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
  • দাম পরীক্ষা: দোকানগুলিতে প্রোডাক্টের সঠিক দাম মূল্যায়ন করা হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষার গিগও থাকে। এই কাজের বিনিময়ে অর্থ পাওয়া যায়।
  • মজুদ পরীক্ষণ: কোনো নির্দিষ্ট দোকানে একটি প্রোডাক্ট আছে কিনা তা পরীক্ষার গিগগুলিও অনেক সময় দেওয়া হয়।  
  • রিভিউ লেখা: খাবার দোকান, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি নিয়ে রিভিউ লেখার গিগগুলি GigWalk এ পাওয়া যায়।
  • মিসটারি শপিং: অনেকসময় এমন গিগ থাকে যেখানে আপনাকে কোনো দোকানে সাজা-গোছানো একজন মিসটারি শপার হিসেবে যেতে হয় এবং পরিষেবার মান পরীক্ষা করতে হয়।
  • GigWalk এ নতুনভাবে যোগদান করলে আপনি একটি বোনাসও পেতে পারেন। প্রতিটি গিগের মূল্য এবং দূরত্ব অনুযায়ী অর্থ উপার্জনের পরিমাণ আলাদা হতে পারে। সঠিকভাবে কাজ করলে এটি একটি ভাল আয়ের উত্স হতে পারে।

InboxDollars 

  • InboxDollars একটি জনপ্রিয় অনলাইন রিওয়ার্ড পরিষেবা যা বিভিন্ন টাস্ক যেমন সার্ভে পূরণ, ওয়েবসাইট রিভিউ করা ইত্যাদির বিনিময়ে আপনাকে অর্থ উপার্জন করতে দেয়। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:
  • সার্ভে পূরণ করা: এটি InboxDollars এর প্রাথমিক আয়ের উৎস। এখানে আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও সংস্থার হয়ে সার্ভে করতে পারবেন এবং প্রতিটি সার্ভের জন্য কিছু অর্থ পাবেন।
  • ওয়েবসাইট রিভিউ করা: InboxDollars এ নানা ওয়েবসাইটের রিভিউয়ার হিসাবে যোগ দিতে পারবেন এবং তার বিনিময়ে অর্থ পাবেন।
  • ভিডিও দেখা: অনেকগুলি স্পন্সরকৃত ভিডিও দেখলেও আপনি টাকা পাবেন।
  • গেম খেলা: InboxDollars এর নিজস্ব গেমগুলি খেললেও আপনি রিওয়ার্ড অর্জন করতে পারবেন।
  • রেফারেল করা: আপনি নতুন সদস্য নিয়োগ করলে রেফারেল বোনাস পাবেন।
  • ক্যাশব্যাক অফার ব্যবহার করা: InboxDollars এর অনলাইন শপিং পার্টনারদের কাছ থেকে কেনাকাটা করলে আপনি ক্যাশব্যাক পাবেন।

InboxDollars এ মূলত আপনি পয়েন্ট কিংবা ক্যাশ ভূমিকায় অনুমোদিত হন। প্রতি $30 সংগ্রহের পর আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, বেশি আয় করতে নিয়মিত ও অধিক সময় দিতে হবে।

পরিশেষে 

প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার উপায় সমন্ধে জানুন কিভাবে দিয়ে ইনকাম করা যায়। সেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানি কিন্তু কোন কোন অ্যাপস দিয়ে ইনকাম করা যায় সঠিক পদ্ধতিতে এটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। কি নিয়মে আপনি ইনকাম করতে পারবেন আপনিও জানলে অবাক হবেন যে খুব সহজেই দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে।

প্রিয় পাঠক কিভাবে ৫০০ টাকা ইনকাম করা যায় প্রতিদিন সে সম্পর্কে আপনি আমার এই পোস্টটি পুরোটা পড়ুন। এবং জানুন কি কি অ্যাপস দিয়ে ইনকাম করা যায় সেই সফল সম্বন্ধে আমি আমার পোস্টে তুলে ধরেছি আশা করি আপনি উপকৃত হলেআপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url