চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় - মেছতা দাগ তুলার ক্রিমের নাম

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় আমরা পার্লারে কতইনা টাকা খরচ করে থাকি শুধু এই স্কিনটাকে সুন্দর রাখবো তাই। আসুন জেনে খুব সহজে আপনি কিভাবে মেছতা দূর করবেন । এবং মেছতার দাগ তুলার ক্রিমের নাম।

আমাদের মুখে দাগ ছোপ থাকলে দেখতে একদমই ভালো লাগেনা । মেছতা থাকলে আর ওই বয়স্ক লাগে আমাদের তো আসুন কিভাবে মেছতার দাগ তুলবো এবং আরো কত উপায়ে দাগ তোলা যায় । সেই বিষয়ে কথা বলব আজ আমারে আর্টিকেলে ।

পোস্ট সূচিপত্র চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় - মেছতা দাগ তুলার ক্রিমের নাম

• চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় 
• মেছতা দাগ তুলার ক্রিমের নাম
• মেছতা দূর করার ওষুধ
• অ্যালোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
• ছেলেদের মেছতা দূর করার ক্রিম
• মেজতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
• মেজতা দূর করার সিরাম
• মেজতা দূর করার ফেসওয়াশ
• লেখক এর মন্তব্য

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় 

চিরতরে মেছতা দূর করতে নিম্নলিখিত কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় নিয়মিত খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সুষম খাদ্যাভ্যাস মেছতাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর খাবার খান এবং অতিরিক্ত চর্বি ও চিনির পরিমাণ কমান। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। 

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম শরীরকে সচল রাখতে এবং মেছতা দূর করতে সাহায্য করে। যথেষ্ট ঘুম নিন। অপর্যাপ্ত ঘুমিয়ে শরীরের ক্ষমতা কমে যায় এবং মেছতা বৃদ্ধি পায়। মানসিক চাপ কমান। অতিরিক্ত চাপ ও উদ্বেগের কারণে মেছতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আমরা চেহারায়  তৈরি করে রাখি এজন্য আমাদের স্কিন চ্যাট চ্যাটে হয়ে থাকে।  

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় কিভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করব

তারপরে ব্রণ বের হয় তারপরে মুখের দাগ হয়ে যায় মেছতা দাগ ছোপ তৈরি হয় তার জন্য আমাদেরকে প্রতিদিন আমাদের স্কিনটাকে সুন্দর রাখতে হবে। এবং পরিষ্কার রাখতে হবে স্কিন অনেকক্ষণ ধরে আমরা পরিষ্কার করি না । এ কাজটা আমাদের করা যাবে না আমাদের মুখ পরিষ্কার পানি দিয়ে একটু পর পর ধুতে হবে ।

বাইরে থেকে আসলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুগ্ধতা হবে মুখ অনেকক্ষণ না ধোয়ার জন্য আমাদের মুখের দাগ ছোপ ফুসকুড়ি এগুলা বের হয়। তার জন্য আমাদেরকে স্ক্রিন সবসময় সুন্দর ও পরিষ্কার রাখতে হবে আর মেস্তা দূর করার জন্য আমাদেরকে একটি নির্দিষ্ট ক্রিম ইউজ করতে হবে। তারপরে আমাদের স্কিন সুন্দর রাখার জন্য সবগুলা নিয়ম মেনে চলতে হবে তাহলে আমাদের মুখ থেকে চিরতরে মেছতা দূর হয়ে যাবে।

মেছতা দাগ তুলার ক্রিমের নাম

আমরা মেছতার দাগ তোলার জন্য এ দোকান ও দোকান অনেক জায়গাতেই ঘুরাঘুরি করি কিন্তু সঠিক ক্রিমটার ডিসাইড করতে পারে না । আমাদের মুখের জন্য সবচেয়ে কোনটা ভালো বা অনেক ক্রিম কিনে আমাদের মুখে লাগায় কিন্তু কোন কাজে আসে না বরং স্কিন আরো পাতলা হয়ে যায় । এবং দাগ উঠে না মুখে অনেক ক্ষতি হয়ে যায় আমাদের আমাদের স্কিনের জন্য আমাদেরকে সঠিক ক্রিমটি নির্ধারণ করতে হবে। 

যেটি ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক আরো সুন্দর গ্লোয়িং দাগমুক্ত দেখাবে আমি আমার এই আর্টিকেল টা তে মেস্তা দূর করার জন্য অনেক রকম উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আপনারা প্রত্যেকটি উপায় ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া উপায়ও মেছতার দাগ তুলতে পারেন। এবং ক্রিম মেখে ও মেছতার দাগ তুলতে পারেন । আসন জেনে নেই কোন কোন ক্রিম মাখলে অতি দ্রুত আপনার মেছতার দাগ উঠে যাবে নিম্নে তা দেয়া হলো।

ওপরে যেই ক্রিম গুলা দেয়া হল এগুলা মাখলে আপনার স্ক্রিন অনেক সুন্দর গ্লোয়িং দাগ মুক্ত মেছতা দূর করে দিবে। তাই বলে সবগুলো ক্রিম একসঙ্গে ইউজ করবেন না এগুলোর মধ্যে যে কোন একটা সিলেক্ট করে নেবেন । আপনি এগুলা মেছতা দূর করার ক্রিম যে কোন একটা ইউজ করলেই আপনার মুখ অতি দ্রুত দাগমুক্ত হয়ে যাবে।

মেছতা দূর করার ওষুধ

মেছতা দূর করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করা জাফরান তেল ব্যবহার করুন। এটি মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রস মেছতার উপর ব্যবহার করুন। এটি মেছতার দাগ দূর করতে কার্যকর। কুঁচা বাদাম তেল মেছতার দাগ মুছে ফেলতে সাহায্য করে। 

রাসায়নিক পদ্ধতি:

হাইড্রোজেন পারওক্সাইড ব্যবহার করুন। এটি মেছতার রং ফিকে করে দিতে পারে। ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি সাবধানে ব্যবহার করতে হবে কেননা এটি কাপড়কে ক্ষতি করতে পারে। গৃহস্থালী ব্লিচ ব্যবহারও করা যেতে পারে। বিশেষ মেছতা দূরকারক পণ্য বাজারে বিভিন্ন প্রকারের মেছতা দূরকারক স্প্রে এবং জেল পাওয়া যায়। এগুলি মেছতা দূর করতে কার্যকর।

সর্বোপরি, মেছতা দাগ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুছে ফেলা উচিত। আপনার যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলে ব্যবসায়িক পরিচ্ছন্নতা পরিষেবা নিতে পারেন। সাধারণত মেছতা দূর করার কোন ওষুধ হয় না আপনি যদি আমাকে ক্রিম দিয়ে মেছতা তুলতে চান বা সিরাম দিয়ে তুলতে চান । বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেছতা তোলা যাবে আপনার লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করতে হবে ।তাহলে অবশ্যই মেছতা দূর করা সম্ভব মেছতা দূর করতে কেবল ওষুধই খাওয়া নয়। যেগুলা আমি আমার আর্টিকেলে তুলে ধরেছে এগুলা মেনে চললে এমনিতে মেস্তা চলে যাবে।

অ্যালোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় অ্যালোভেরা কচি মেছতার দাগ সরিয়ে দিতে খুবই কার্যকর। এটি একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতি। অ্যালোভেরা দিয়ে মেছতার দাগ দূর করার উপায় নিম্নরূপ অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে রস বের করে নিন। একটি বাটি বা কাঁচির সাহায্যে রস বের করতে পারেন। মেছতার দাগ যেখানে আছে সেখানে অ্যালোভেরা রস ভালোভাবে মাখুন এবং ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।

এরপর একটি নরম কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে দাগের উপর ঘষে দিন। মেছতার দাগ ধীরে ধীরে ধুয়ে যাবে। যদি প্রথমবারে সম্পূর্ণ দাগ না যায়, তাহলে পুনরায় অ্যালোভেরা রস লাগিয়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন শেষে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

আরো পড়ুনঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

অ্যালোভেরার রসে রয়েছে এনজাইম যা মেছতার দাগ সরিয়ে দেয়। এছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী। তাই অ্যালোভেরা দিয়ে মেছতার দাগ সহজেই দূর করা যায়। এটি পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ উপায়। তো শুধু ক্রিমি সিরাম এগুলো দিয়েও তোলা যায় মেছতার দাগ কিন্তু অ্যালোভেরা দিয়েও কিভাবে মেছতার দাগ তোলা যায় । সে সম্বন্ধে আপনার জানলেন তো আর দেরি না করে অ্যালোভেরা দিয়ে মুখের তুলে নেন।

ছেলেদের মেছতা দূর করার ক্রিম

মেজতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি

মেজতা দূর করার সিরাম

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় মেছতার দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের বিশেষায়িত সিরাম বা সেরাম পাওয়া যায়। এই সিরামগুলি মেছতার দাগকে আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে দূর করতে সাহায্য করে। নিচে কিছু জনপ্রিয় মেছতা দূরকারী সিরাম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

• হাইড্রোকুইনোন সিরাম: এটি একধরনের বর্ণহীনকারী যৌগ যা মেছতার দাগকে হালকা করতে সাহায্য করে। হাইড্রোকুইনোন শক্তিশালী এবং দ্রুত কার্যকর। তবে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।

• কোজিক অ্যাসিড সিরাম: কোজিক অ্যাসিড এমন একটি উপাদান যা মেছতার দাগ কমাতে সহায়তা করে। এটি হাইড্রোকুইনোন থেকে আরও নিরাপদ বিকল্প।

• ভিটামিন সি সিরাম: ভিটামিন সি বর্ণহীনকারী এবং অ্যান্টিঅকসিডেন্ট গুণাবলী রয়েছে। এটি মেছতার দাগ কমাতে সহায়তা করে।

• গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সিরাম: এক্সফোলিয়েটিং এবং বর্ণহীনকারী উপাদান হিসাবে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড দাগ কমানোর জন্য কার্যকর।  

• আর্বুটিন সিরাম: আর্বুটিন প্রাকৃতিক বর্ণহীনকারী উপাদান। এটি মেছতার দাগ হালকা করে এবং নতুন দাগ তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে।

এই সিরামগুলি দাগের ধরন ও গভীরতা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হয়। একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করা ভাল। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এগুলি মেছতার দাগ দূর করতে খুবই কার্যকর।

মেছতার দাগ দূর করতে বিশেষ উপাদান সমৃদ্ধ কিছু ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যায়। এই ফেসওয়াশগুলি মুখের ত্বককে পরিষ্কার করার পাশাপাশি মেছতার দাগও হালকা করতে সাহায্য করে। নিচে কিছু জনপ্রিয় মেছতা দূরকারী ফেসওয়াশ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

মেজতা দূর করার ফেসওয়াশ

গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ফেসওয়াশ: গ্লাইকোলিক অ্যাসিড একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট। এটি ত্বকের বাইরের স্তরকে নরম করে মৃত কোষগুলি সরিয়ে দেয় এবং মেছতার দাগ হালকা করে। কোজিক অ্যাসিড ফেসওয়াশ কোজিক অ্যাসিড একটি প্লান্ট-ডেরাইভড বর্ণহীনকারী উপাদান যা মেছতার দাগ কমাতে সাহায্য করে।

আর্বুটিন ফেসওয়াশ আর্বুটিন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে মেছতার দাগ হালকা করে। ভিটামিন সি ফেসওয়াশ এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি মেছতার দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি মেলানিন উৎপাদন কমায়।

সালফার ফেসওয়াশ সালফার একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মেছতার দাগ কমাতে সহায়তা করে। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে।  এই ফেসওয়াশগুলি প্রতিদিন ব্যবহার করলে মেছতার দাগ ক্রমেই হালকা হয়ে যাবে। তবে কোন বিশেষ সমস্যার ক্ষেত্রে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মেছতার প্রথম পর্যায়ে এগুলি খুবই কার্যকর।

আরো পড়ুনঃ এলোভেরা দিয়ে হাত পা ফর্সা হওয়ার উপায় 

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় আপনাকে যে সবসময় ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে বিষয়টা এমন না । আপনি আপনার মুখটা সব সময় ক্লিন রাখার চেষ্টা করবেন । স্কিনটাকে তৈলাক্ত হতে দিবেন না এবং স্ক্রিনে ব্রণ বের হবে এমন কোন জিনিস ইউজ করবেন না মুখটাকে সব সময় পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখবেন।

লেখকের মন্তব্য

চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় ও মেছতা দাগ তুলার ক্রিমের নাম আপনাদের মাঝে আমি তুলে ধরেছি । আরো কত রকম ভাবে আপনি আপনার মুখের মেছতা তুলতে পারবেন সে বিষয়েও আমি আমার আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। আমার এই পোস্টটিতে আপনি মেছতা তুলতে যতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে সবগুলোই তুলে ধরেছি । আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে মেছতার সম্পর্কে সবকিছু বৃত্তান্ত জানবেন । আশা করছি আপনি পোস্ট অনুযায়ী নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই সাত দিনের মধ্যে রেজাল্ট পাবেন। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি করে উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।