সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। আমরা যখন দেখি আমাদের পেট বড় হয়ে যাচ্ছে তখন আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি আসুন জেনে নেই সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম ।
প্রিয় পাঠক আমাদের পেট বড় নিয়ে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ি । আমি আমার এই পোস্টটিতে আপনি আপনার পেট কিভাবে কমাবেন সেই বিষয়েও আলোচনা করেছি আশা করি সবকিছু জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় - সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম
- কিভাবে কাটা দাগ মেশানো যায়
- সিজারের পর পেট বড় হয় কেন
- সিজারের পর পেট ফুলে যায় কেন
- সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়
- সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম
- সেলাইয়ের দাগ মেশানোর উপায়
- মাতৃতের দাগ দূর করার উপায়
- সিজারের পর পেট শক্ত হয়ে যায় কেন
- সিজারের পর মেয়েরা মোটা হয় কেন
- কিভাবে সিজারের পর পেট স্লিম রাখা যায়
- লেখকের মন্তব্য
কিভাবে কাটা দাগ মেশানো যায়
আমরা সকলেই কিছু না কিছু কারণে কাটার দাগ পাই। এই দাগগুলো সাধারণত শরীর থেকে নিজে থেকেই মিলিয়ে যায়। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে দাগগুলোকে দ্রুত মিশিয়ে ফেলা সম্ভব। নিম্নলিখিত কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
- দাগের জায়গায় প্রতিদিন এলোভেরা জেল লাগান। এটি দাগকে দ্রুত মিশিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ফাঁড়িয়ে তার তেল দাগের জায়গায় লাগান। এটি দাগের রঙকে হালকা করতে সাহায্য করে।
- লেবুর রস দাগের জায়গায় লাগান। লেবুর রসে থাকা এসিড দাগকে মিশিয়ে ফেলতে সহায়তা করে।
- শুকনো চামচিকাগুলো গুঁড়িয়ে গুঁড়ো করে তেল দিয়ে মিশিয়ে লাগান। এটি দাগকে ক্রমশ হালকা করে।
- নিয়মিত চকলেট ব্রাউনি ফেস প্যাক লাগান। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট দাগ মিশিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
- সূর্যের আলোতে যতটা সম্ভব সময় কাটান। ভিটামিন ডির সাহায্যে দাগ দ্রুত মিলিয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
বিশেষভাবে ধৈর্য ধরে এগুলো নিয়মিত করলে কাটার দাগগুলো শীঘ্রই মিলিয়ে যাবে। তবে নতুন দাগ না পাওয়ারও চেষ্টা করুন।
সিজারের পর পেট বড় হয় কেন
সিজারের পর পেট বড় হওয়ার কারণগুলো নিম্নরূপ:
গর্ভাবস্থার সময় শরীরের হরমোনগত পরিবর্তন: গর্ভাবস্থার সময় শরীরে প্রচুর পরিমাণে হরমোন রিলক্সিন এবং প্রোজেস্টেরোন নির্গত হয়। এই হরমোনগুলো পেটের পেশীগুলোকে নরম করে এবং ছিদ্র করে, ফলে পেট বড় হয়ে যায়।
- বাচ্চার বৃদ্ধি: গর্ভকালীন সময়ে বাচ্চার বৃদ্ধির সাথে সাথে পেট বড় হয়ে যায়। বাচ্চা যত বড় হবে, পেট ততই বড় হবে।
- আমাশয় ও আন্ত্রের স্থানান্তর: গর্ভাবস্থায় বাচ্চার জন্য জায়গা করতে আমাশয় ও আন্ত্রগুলো উপরের দিকে সরে যায়, ফলে পেট বাইরের দিকে বড় হয়ে যায়।
- পেটের পেশীগুলোর প্রসারণ: গর্ভাবস্থায় পেটের পেশীগুলোকে অনেক প্রসারিত হতে হয় বাচ্চার জন্য জায়গা করতে, এতে পেট বড় দেখায়।
- শরীরে তরল পদার্থের সঞ্চয়: গর্ভাবস্থায় শরীরে অনেক তরল পদার্থ জমে, যা পেটকে বড় দেখায়।
সিজারের পরও কিছুদিন এই কারণগুলোর জন্য পেট বড় থাকে। তবে ধীরে ধীরে হরমোনগত পরিবর্তন এবং পেটের পেশীগুলোর শক্তি ফিরে আসার সাথে সাথে পেট আবার স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসে।
সিজারের পর পেট ফুলে যায় কেন
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সিজারের পর পেট ফুলে যাওয়ার কারণগুলো নিম্নরূপ:
এনেসথেসিয়ার প্রভাব সিজারের সময় প্রদত্ত এনেসথেসিয়া গ্যাসের কারণে পেটের পেশীগুলো নির্বিয় হয়ে যায়। ফলে পেটে বায়ু জমতে থাকে এবং পেট ফুলে যায়। আমাশয় ও আন্ত্রের কার্যকলাপের বিঘ্ন সিজারের সময় আমাশয় ও আন্ত্রগুলোর স্বাভাবিক গতিশীলতা বিঘ্নিত হয়, যার ফলে বায়ু ও গ্যাস জমে এবং পেট ফুলে যায়।
পেটের পেশীগুলোর দুর্বলতা সিজারের পর কিছুদিন পেটের পেশীগুলো দুর্বল থাকে। এতে পেটে বায়ু জমে ফুলে যায়।ব্যথানাশক ওষুধের প্রভাব সিজারের পর ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের ফলে আন্ত্রিক গতিশীলতা কমে যায়, যার কারণে বায়ু জমে পেট ফুলে যায়।
পানীয় ও খাবারের পরিমাণ কমে যাওয়া: সিজারের পর কিছুদিন খাবার ও পানীয়ের পরিমাণ খুব কম থাকে, যার ফলে পরিপাকতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং পেট ফুলে যায়।
আরো পড়ুনঃ বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
সাধারণত কয়েকদিন পর পর এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায় এবং পেট আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে যদি সমস্যা অনেকদিন থেকে যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে:
- পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন: উচ্চ প্রোটিন, কম চর্বি ও কম কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। এতে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে এবং মেদ পুড়তে সাহায্য করবে।
- ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের কэলরি পুড়বে এবং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। এর্ব, ওয়াকিং, জগিং ইত্যাদি করতে পারেন।
- অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজ করুন: প্ল্যানক, ক্রান্চ, লেগ রেইজ ইত্যাদি অ্যাবডোমিনাল এক্সারসাইজগুলো পেটের মেদ কমাতে সহায়ক।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে এবং মেদ পুড়তে সাহায্য করবে।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিন: রাতে ভালোভাবে ঘুমানোর ফলে শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং মেদ পুড়বে।
- হরমোনগত বিকৃতি চিকিত্সা করান: যদি কোন হরমোনগত সমস্যা থাকে তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
- ধৈর্য ধরুন: সিজারের পর শরীরের পরিবর্তন হওয়ায় মেদ কমানোর প্রক্রিয়া ধীর হতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে।
সর্বোপরি, নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে সিজারের পর পেটের মেদ কমানো সম্ভব।
সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সিজারের পর বেল্ট পড়ার কিছু নিয়ম হল:
- পেটের ফাঁক ঠিক থাকতে হবে: সিজারের পর প্রথম কয়েকসপ্তাহ বেল্ট পড়ার সময় পেটের ফাঁক ঠিকমত না থাকলে তা এড়িয়ে চলতে হবে। ফাঁক ঠিক না থাকলে চাপ পড়বে এবং দাগ বা ক্ষত হতে পারে।
- পরিষ্কার জায়গায় বসে পড়তে হবে: বেল্ট পড়ার আগে জায়গাটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। যেন ময়লা, কাঁটাবাঁটা না থাকে। এতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকবে না।
- স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্বাচন করতে হবে: বেশি গরম বা ঠান্ডা পরিবেশ বর্জন করা উচিত। মাঝারী তাপমাত্রার জায়গাই বেল্ট পড়ার উপযুক্ত।
- হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে: সিজারের পর বেল্ট পড়া ছাড়াও হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, গোড়ালির মতো শরীরচর্চা করা যেতে পারে।
- পেটের চাপ পড়বে না এমন উপযুক্ত বেল্ট বেছে নিতে হবে: বাজারে বিভিন্ন ধরণের বেল্ট পাওয়া যায়। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত বেল্টটি নির্বাচন করতে হবে।
- প্রথম কয়েকদিন হালকাভাবে শুরু করে ক্রমান্বয়ে সময় বাড়ানো যেতে পারে: বেল্ট পড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
বেল্ট পড়ার জন্য উপযুক্ত সময় ও পদ্ধতি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিজার হওয়ার পর চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে সতর্কতার সাথে বেল্ট পড়া উচিত।
সেলাইয়ের দাগ মেশানোর উপায়
সেলাইয়ের দাগ মেশানোর কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় কিন্তু এর আগে একটি বিষয় বলে নিই, নতুন দাগ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষ্কার করা যায় ততই ভাল। যেহেতু পুরানো দাগ অনেক বেশি জায়গা নিয়ে থাকে। এখন কয়েকটি পদ্ধতি দেখা যাক:
- গরম পানি ও ছাই দিয়ে: এটি সবচেয়ে সহজ ও পরীক্ষিত পদ্ধতি। সেলাইয়ে দাগযুক্ত অংশটি গরম পানিতে ভিজিয়ে থাকতে দিন। এরপর ভালভাবে ছাই মাখিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। দাগ কমে যাওয়া উচিত।
- লেমন রস ব্যবহার: একটি লেমন নিয়ে তার রস বের করে নিন। সেই রসে দাগযুক্ত অংশ ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১ ঘন্টা। এরপর সাবান দিয়ে ভালভাবে মেশান। লেমনের অ্যাসিড দাগ মেশাতে সাহায্য করবে।
- বেকিং সোডা ব্যবহার: পানিতে অল্প বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি দাগের উপর মাখুন এবং মাথায় দিন। এরপর সাবান দিয়ে ভালভাবে মেশান। অনেক সময়েই বেকিং সোডা দাগ মেশানোর ব্যাপারে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
- ভিনেগার ব্যবহার: ভিনেগার দাগের প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে কাজ করতে পারে। এটি একটি সহজলভ্য রাসায়নিক দ্রব্য যা অনেক সময় দাগ মেশানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। ভিনেগার দিয়ে প্রথমে দাগযুক্ত জায়গাটি ভালভাবে ভিজিয়ে রাখুন। বাদবাকী অংশগুলো মনোযোগসহকারে মর্ডান্ট দিয়ে মোছার পদ্ধতি অনেকেই অবলম্বন করেন।
সব ক্ষেত্রেই একটু ধৈর্য্য ধরে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াটি বারবার করলে দাগ যথেষ্ট পরিমাণে কমে যাবে। যদি তবুও না যায় তাহলে রাসায়নিক পদার্থ যেমন বিলিচিং পাউডার বা অক্সালিক অ্যাসিড ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাতৃতের দাগ দূর করার উপায়
মাতৃত্বের দাগ দূর করার কিছু উপায় নিম্নরূপ:
লেমন রস: লেমনের রসের মধ্যে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি মাতৃত্বের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেমন রস দিয়ে ওই অংশ ঘষা যেতে পারে অথবা রস মেখে কিছুক্ষণ রাখা যায়।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডা এক ধরনের নৈসর্গিক স্ক্রাব হিসাবে কাজ করে। এটি দাগ কমাতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
যোগার্ট: যোগার্টের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের রঙ একসঙ্গে করতে সাহায্য করে। যোগার্টকে তাজা অবস্থায় দাগের উপর লাগাতে হবে এবং কিছুক্ষণ পর ধুইয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক মসৃণকারক এবং এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি ত্বককে একসঙ্গে করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেলকে প্রতিদিন দাগের উপর লাগাতে হবে।
কাঁচা দুধ: কাঁচা দুধে ভিটামিন A, D, E এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা দাগ কমাতে সহায়তা করে। দুধের সাথে আরও কিছু উপাদান যোগ করে মাস্ক বানিয়ে দাগের উপর লাগানো যায়।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বককে একসঙ্গে করতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল দিয়ে দাগের জায়গায় মালিশ করতে হবে।
মাতৃত্বের দাগ দূর করতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য্য ধরে নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। একাধিক পদ্ধতি একসাথে ব্যবহার করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
সিজারের পর পেট শক্ত হয়ে যায় কেন
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সিজারিয়ান অপারেশনের পর পেট শক্ত হয়ে যাওয়ার প্রধান কিছু কারণ রয়েছে:
- অপারেশনের প্রভাব: সিজারিয়ান অপারেশন একটি বড় ধরনের সার্জারি। এই অপারেশনের সময় পেটের পেশীতে কাটা পড়ে। ফলে অপারেশন থেকে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়ায় পেটের পেশীগুলি শক্ত ও জড়িত হয়ে যায়।
- অ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাব: সিজারিয়ান অপারেশনের সময় প্রসূতিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়। অ্যানেস্থেসিয়ার প্রভাবে পেটের পেশীগুলি কিছুটা শক্ত হয়ে যায়। এটি ধীরে ধীরে কমে আসবে।
- অ্যাডহেসিয়ন: কখনও কখনও অপারেশনের পর শরীরে অ্যাডহেসিয়ন বা পেশীজড়তা তৈরি হতে পারে। এর ফলে পেটের পেশীগুলি আরও শক্ত হয়ে যায়।
- ডেলিভারির পদ্ধতি: প্রাকৃতিক প্রসবের তুলনায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় পেটের পেশীগুলি আরও বেশি আঘাত পায়। তাই পেট আরও শক্ত হয়ে উঠে।
- মানসিক চাপ: অনেক সময় সিজারিয়ানের পরেও মা'রা মানসিক চাপে থাকেন। এই মানসিক চাপের কারণে শরীর অনিচ্ছাকৃতভাবে পেটের পেশীগুলিকে শক্ত করে রাখে।
তবে এই শক্ততা একটু সময় নিলেই ধীরে ধীরে কমে আসবে। বিশ্রাম নেওয়া, পেটের ব্যায়াম এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করলে পেটের শক্ততা দূর হয়ে যায়। তবে যদি শক্ততা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সিজারের পর মেয়েরা মোটা হয় কেন
সিজারিয়ান অপারেশনের পর মেয়েরা মোটা হওয়ার কিছু প্রধান কারণ নিম্নরূপ:
গর্ভাবস্থার সময় শরীরে হরমোনগত পরিবর্তন ঘটে যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। সিজারিয়ান অপারেশনের পর এই হরমোনগুলির স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগে। ফলে ওজন কমতে দেরী হয়।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্রাম নিতে হয়। এই অবস্থায় খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ একই থাকলেও শরীরের চলাচল কমে যাওয়ায় ওজন বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণেও খাদ্য গ্রহণ বেড়ে যায়।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর পেটের পেশীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং জড়িয়ে যায়। এজন্য পেটের চর্বি কমাতে সমস্যা হয়। পেটের ব্যায়াম না করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় অপারেশনের পর মা'রা পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
সিজারিয়ান অপারেশনের পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বাড়তে পারে। ফলে অনেক সময় এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হয়, যা পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ওজন বাড়াতে পারে। সুতরাং সিজারের পর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শারীরিক চর্চা এবং চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চললে ওজন বৃদ্ধির এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কিভাবে সিজারের পর পেট স্লিম রাখা যায়
সিজারিয়ান অপারেশনের পর পেট স্লিম রাখতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে খাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। কম ক্যালরি সমৃদ্ধ, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। বেশি চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি, ফল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিজারিয়ান অপারেশনের পর যখন চিকিত্সকের অনুমতি পাবেন তখন থেকেই ক্রমশ ব্যায়াম শুরু করুন। ঘরে বসেই ভারী ওজনের কাজ, ওয়াকিং, জগিং, যোগাসন ইত্যাদি করা যায়। ব্যায়াম করলে জমাট চর্বি ক্রমশ কমে আসবে।
যথেষ্ট বিশ্রাম নিন কিন্তু একাধারে অনেক্ষণ শুয়ে থাকবেন না। শরীরকে একটু একটু করে চলাফেরা করান। দিনে কয়েকবার ঘুরতে যান। বাচ্চার যত্ন নিতে গিয়ে আপনি অনেক চলাচল করবেনই। পর্যাপ্ট পরিমাণে পানি পান করুন। এতে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যাবে এবং জমাট চর্বি কমবে। অন্যান্য জলযুক্ত পানীয় যেমন- শাক-সবজির রস, কম-চর্বিযুক্ত দুধ ইত্যাদি পান করতে পারেন।
সিজারিয়ান অপারেশনের পর মানসিক চাপ থাকতে পারে। সেই চাপকে কাটিয়ে উঠতে যোগাসন, ধ্যান বা মনোনিবেশন করা যেতে পারে। মানসিক চাপ থাকলে লোকে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণ করে বসে যা ওজন বাড়াতে সহায়ক। সুতরাং খাদ্য, শারীরিক চর্চা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং মানসিক শান্তি বজায় রেখে সিজারের পরের সময়টিকে সদ্ব্যবহার করলে পেট স্লিম রাখা সম্ভব।
লেখকের মন্তব্য
সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় আসুন জেনে নেই । আমরা আরো জেনে নেই সিজারের পর
বেল্ট করার নিয়ম আসলে বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরে বা সিজার হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের
পেটের মেদ দ্রুত বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা চাইলে কয়েকটি নিয়ম মানলেই নিমিষেই
আমাদের এই মেন জড়িয়ে ফেলতে পারি।
প্রিয় পাঠক আমরা পেট কমানোর জন্য কতই না কিছু করে থাকি । বা পেটের জন্য কোন ড্রেস পরেও আমাদেরকে সুন্দর লাগে না এটা সচরাচর বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর সিজারের কারণে হয়ে যায়। আমি আমার এই পোস্টটিতে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি কিভাবে পেটের মেদ কমাবেন কোন বেল্ট পড়লে পেটের দ্রুত কমে যাবে । আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি করে উপকৃত হবেন আপনি উপকৃত হলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url