সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪ আসুন আমরা জেনে নিই আমরা কিভাবে ইউরোপ যেতে
পারবো। খুব সহজেই আপনাদের সামনে আজকে আমি তুলে ধরেছি ইউরোপ যাওয়ার অনেকগুলো
উপায়।
প্রিয় পাঠক কিভাবে আপনি সরকারি ভাবে যেতে পারবেন ইউরোপ সেই উপায় গুলো আমি
আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনি আমার এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন ইউরোপে
যাওয়ার উপায় আমার এ পোষ্টের সঙ্গে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪
ইউরোপ যাওয়ার জন্য বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক উপায় রয়েছে ২০২৪ সালে ইউরোপে যাওয়ার
কিছু প্রধান পথ আমি আপনাদের কাছে আজকে তুলে ধরবো। প্রথমেই ইউরোপীয়
ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য টুরিস্ট ভিসা আপনি যেকোন দেশে ভ্রমণের জন্য অনলাইন বা
জাতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারেন।
ব্যক্তিগত ও আর্থিক প্রমাণত্ব দিতে হবে কর্মীর স্থানতোর ছুটি আপনার
প্রতিষ্ঠান যদি ইউরোপে কোন শাখা বা প্রকল্প থাকে তবে সেখানে স্থায়ী বা সাময়িক
কাজের জন্য আপনাকে পাঠানো যেতে পারে। এটি আপনার প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী
হতে হবে অবশ্যই। শিক্ষাগত প্রোগ্রামে যেমন আপনি ইউরোপে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার
জন্য ভর্তি হতে পারেন তবে ছাত্র ভিসা নিতে পারেন এর জন্য ভাষা ও মেধা প্রমানের
প্রয়োজন হবে অবশ্যই ।
আপনার তো দক্ষতা থাকা লাগবে নাগরিক বা কৃষিকাজের ভিসা যদি আপনি নিতে চান কিছু
ইউরোপীয় দেশ নাগরিক এবং কৃষিকাদের জন্য বিশেষ ভিসা প্রদান করে থাকে । এগুলির
জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে অবশ্যই ইন্টারসিপ বা গবেষণা প্রকল্প নেই
যদি কোন ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে ইন্টারশীপ বা গবেষণা প্রকল্পে নেয়া হয়
তাহলে সেখানে যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতি পাবেন ।
সরকারি পথে ইউরোপে যাওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল হতে পারে এবং প্রমাণত্ব আর্থিক
সামর্থ্য ইত্যাদি দরকার কিন্তু এটাই সঠিক পথ । কিন্তু যথাযথভাবে আবেদন করলে এবং
শর্তাবলী পূরণ করলে ইউরোপের যাওয়া সম্ভব হবে সহজেই।
ইউরোপ যাওয়ার সহজ কিছু উপায়
ইউরোপে যাওয়ার কিছু সহজ উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম আপনি আমার এই পোস্টের
মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার সহজ উপায় জানতে পারবেন। ইউরোপে যাওয়ার কিছু সহজ উপায়
নিম্নরূপ এক্সপ্লোরার ভিসা কিছু ইউরোপীয় দেশ যেমন- স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স
ইত্যাদি এক্সপ্লোরার বা ওয়ার্কিং হলিডে ভিসা প্রদান করে থাকে। এই ভিসায় আপনি
সামান্য কাজ করতে পারবেন এবং দেশটি ঘুরে বেড়াতে পারবেন। বয়স সীমা এবং
নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।
স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্টুডেন্ট
এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম থাকে। এসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি কিছু সময়ের জন্য
ইউরোপে অধ্যয়ন করতে পারবেন। ভলান্টিয়ার কাজ: কিছু ইউরোপীয় সংস্থা বিভিন্ন
প্রকল্পে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে থাকে। এতে আপনাকে থাকা-খাওয়ার জন্য জায়গা
দেওয়া হবে এবং খরচ পত্র যাবে না। Au Pair কাজ ইউরোপীয় পরিবারগুলো বিদেশি
যুবক-যুবতীদের Au Pair হিসেবে কাজ দেয়।
আপনাকে সামান্য পারিশ্রমিক দেওয়া হবে এবং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে।
ইংরেজি/ফ্রেঞ্চ/জার্মান ভাষা জানা প্রয়োজন। WWOOFing বিশ্ব জুড়ে কৃষি কাজে
সহায়তা করার জন্য WWOOFing সংগঠনটি কাজ করে। এদের মাধ্যমে আপনি ইউরোপে গিয়ে
কৃষিকাজ করতে পারবেন এবং খাওয়া থাকার ব্যবস্থা পাবেন। এছাড়াও ইউরোপের
দেশগুলোতে রিমোট কাজ বা ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে ভিসা বা অনুমতি
লাগবে। সহজ উপায়গুলোতে ব্যয় কম হলেও নিজের দক্ষতা এবং ভাষা জ্ঞান জরুরি
বিষয়।
ইউরোপের ভিসার আবেদন কিভাবে করব
ইউরোপের যে কোনো দেশের ভিসার আবেদন করতে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে
হবে প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন দেশে ভিসার জন্য আবেদন করবেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি জার্মানিতে যেতে চান, তাহলে জার্মান ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। পরবর্তীতে আপনাকে সেই দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইট দেখে ভিসার জন্য
প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। যেমন - পাসপোর্টের ফটোকপি,
জন্মনিবন্ধন, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্বাস্থ্য বীমার নথি, ফটো, আনুষ্ঠানিক
আমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।
এরপর আপনাকে সেই দেশের দূতাবাসের নির্ধারিত ফিলিং স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ভিসা
আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। অনলাইনেও আবেদন করা যায়। পরবর্তীতে আপনাকে ভিসা ফি
প্রদান করতে হবে। ফির পরিমাণ দেশ ও ভিসার ধরণ বিভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সব
কাগজপত্র এবং ফি প্রদান করার পর আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য দূতাবাসে উপস্থিত
হতে হবে। কনসালার কর্মকর্তারা সাক্ষাৎকার নেবেন।
যদি আপনার আবেদন সঠিক থাকে, তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর আপনি ভিসা পাবেন। নিজ
পাসপোর্ট সহ দূতাবাস থেকে সেটি সংগ্রহ করতে হবে। নিয়ম এবং প্রক্রিয়া দেশ
বিশেষে আলাদা হতে পারে। তাই ভিসা আবেদন করার আগে সেই দেশের বিধিনিষেধ
সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন। দূতাবাসের কাছ থেকে নির্দেশনা নেওয়াও ভাল হবে।
ভিসা আবেদন ফ্রম কিভাবে পূরণ করব
ইউরোপীয় দেশগুলোর ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো
খেয়াল রাখতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য আপনার নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান, পেশা,
ঠিকানা ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখুন। পাসপোর্টের তথ্যের সাথে মিলিয়ে লিখবেন।
পাসপোর্ট তথ্য পাসপোর্ট নম্বর, ইসুযির তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ
ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখতে হবে।
ভ্রমণের উদ্দেশ্য আপনি কেন এই দেশে যেতে চান তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
যেমন পর্যটন, শিক্ষা, কর্ম ইত্যাদি। অবস্থানকাল কতদিন এই দেশে থাকবেন তা
উল্লেখ করুন। তবে ভিসা মেয়াদকাল অতিক্রম করে থাকা যাবে না। আর্থিক তথ্য
আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স, নিয়মিত আয়ের তথ্য দিতে হবে যাতে দেখা যায় আপনি
নিজে খরচ বহন করার সামর্থ্য রাখেন।
থাকার ঠিকানা যদি আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকবেন তাদের ঠিকানা দিন। নাহলে
হোটেল বুকিংয়ের প্রমাণ দিতে হবে। আমন্ত্রণ পত্র যদি কেউ আপনাকে নিমন্ত্রণ
করে থাকে তবে সেই আনুষ্ঠানিক পত্রটি সংযুক্ত করুন। ভাষার দক্ষতা কোন ভাষায়
কতটুকু দক্ষ তা উল্লেখ করুন এবং সার্টিফিকেট থাকলে সংযুক্ত করুন।
অন্যান্য কাগজপত্র যেমন স্বাস্থ্যবীমা, ছবি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
সার্টিফিকেট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজ সংযুক্ত করুন। সব তথ্য সঠিক এবং সত্য
হওয়া বাঞ্ছনীয়। ফরমটি ভালোভাবে পড়ে বুঝে এবং পূরণ নির্দেশিকা মেনে পূরণ
করতে হবে। ভুল তথ্য দিলে ভিসা প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায় আসন জেনে নেই। 2024 সালে ইউরোপীয়
ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা চালু
থাকতে পারে সেগুলোর তালিকা নিম্নরূপ:
জার্মানি
ফ্রান্স
ইতালি
স্পেন
নেদারল্যান্ডস
বেলজিয়াম
পর্তুগাল
গ্রীস
অস্ট্রিয়া
সুইডেন
সুইজারল্যান্ড
নরওয়ে
ডেনমার্ক
ফিনল্যান্ড
আয়ারল্যান্ড
তবে ভিসার ধরন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রক্রিয়া দেশ বিশেষে আলাদা হতে
পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোন দেশে শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসা চালু থাকতে পারে আবার অন্য
কোন দেশে শিক্ষা বা কর্মভিসাও চালু থাকতে পারে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলো যেমন ব্রিটেন, রাশিয়া, সার্বিয়া,
ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি দেশগুলোর জন্যও বিভিন্ন ধরনের ভিসা নীতি থাকতে পারে।
তাই ইউরোপে যাওয়ার আগে বিশেষভাবে সেই দেশটির ভিসা নীতি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সম্পর্কে জানা উচিত। প্রতিটি দেশের দূতাবাস বা ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য সহজেই
পাওয়া যাবে।
ইউরোপে যাওয়ার কিছু নিয়ম
ইউরোপে যাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম এবং শর্তাবলী মেনে চলতে হয়, যেগুলো নিম্নরূপ
ভিসা প্রায় সব ইউরোপীয় দেশেই ভ্রমণ, কাজ বা অধ্যয়নের জন্য বিদেশিদের ভিসার
প্রয়োজন হয়। ভিসার ধরণ এবং প্রক্রিয়া দেশ বিশেষে আলাদা হতে পারে। পাসপোর্ট
মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া এবং যথেষ্ট খালি পৃষ্ঠা থাকা একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে
হবে।
স্বাস্থ্য বীমা অনেক দেশই বিদেশিদের জন্য যথেষ্ট স্বাস্থ্য বীমা সুরক্ষা থাকার
শর্ত রাখে। অর্থনৈতিক সামর্থ্য প্রতিটি দেশেই বিদেশিদের যথেষ্ট অর্থনৈতিক
সামর্থ্য থাকার শর্ত রাখে যাতে তারা আত্মনির্ভরশীল থাকতে পারে। শংকাজনক রেকর্ড
গুরুতর অপরাধমূলক রেকর্ড বা জঙ্গিবাদের সাথে যোগাযোগ থাকলে অনেক দেশই ভিসা
অস্বীকার করে।
ভাষা দক্ষতা কিছু দেশ কিছু পরিমাণ ভাষা দক্ষতার প্রমাণ চায়, বিশেষ করে শিক্ষা
বা কর্মক্ষেত্রে। প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টের নিয়ম ইউরোপে প্রবেশ ও
প্রস্থানের সময় নির্দিষ্ট পয়েন্টে বিভিন্ন পরীক্ষা ও নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে
যেতে হবে।
আইন মেনে চলা ইউরোপীয় দেশগুলোর সকল আইন এবং নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। প্রতিটি
দেশেরই নিজস্ব আইন ও বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই ইউরোপ যাওয়ার আগে সেই দেশের
শর্তাবলী ভালভাবে জেনে নিতে হবে। এগুলো মেনে চললেই ইউরোপে সহজে ও নিরাপদে
অবস্থান করা সম্ভব হবে।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা চালু আছে ২০২৪
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের
জন্য যেসব দেশের ভিসা চালু থাকবে সেগুলো হলো:
জার্মানি
ফ্রান্স
ইতালি
স্পেন
নেদারল্যান্ডস
বেলজিয়াম
পর্তুগাল
গ্রীস
অস্ট্রিয়া
সুইডেন
ডেনমার্ক
ফিনল্যান্ড
আয়ারল্যান্ড
মাল্টা
সাইপ্রাস
এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কিছু দেশের জন্যও বাংলাদেশি নাগরিকদের
ভিসা চালু থাকবে যেমন
সুইজারল্যান্ড
নরওয়ে
আইসল্যান্ড
যুক্তরাজ্য (ব্রিটেন)
তবে এসব দেশের ভিসা নীতি, প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেশ বিশেষে
আলাদা হতে পারে। কোন দেশে শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসা চালু থাকতে পারে আবার অন্য
কোনো দেশে শিক্ষা বা কর্মভিসাও চালু থাকতে পারে। তাই ইউরোপে যাওয়ার আগে
নির্দিষ্ট দেশটির ভিসা নীতি এবং আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবিশেষ তথ্য
নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় সেই সম্পর্কে আপনাদের সামনে
তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের নিম্নলিখিত দেশগুলোতে যাওয়া সম্ভব:
জার্মানি
ফ্রান্স
ইতালি
স্পেন
নেদারল্যান্ডস
বেলজিয়াম
পর্তুগাল
গ্রীস
অস্ট্রিয়া
সুইডেন
ডেনমার্ক
ফিনল্যান্ড
আয়ারল্যান্ড
মাল্টা
সাইপ্রাস
লাক্সেমবার্গ
স্লোভাকিয়া
স্লোভেনিয়া
পোল্যান্ড
হাঙ্গেরি
রোমানিয়া
বুলগেরিয়া
ক্রোয়েশিয়া
তবে প্রত্যেকটি দেশের ভিসা নীতি ও প্রবেশের শর্তাবলী আলাদা। কেউ কেউ শুধুমাত্র
টুরিস্ট ভিসা দিতে পারে, আবার অন্যরা শিক্ষা বা কর্মভিসাও দিতে পারে। সুতরাং
আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া
মেনে চলতে হবে।
কম খরচে ইউরোপের কোন দেশে যাওয়া যায়
কম খরচে ইউরোপের কিছু দেশে যাওয়া সম্ভব, যেমন পোল্যান্ড পোল্যান্ড ইউরোপের
একটি সস্তা গন্তব্য। এখানে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের খরচ অপেক্ষাকৃত কম।
হাঙ্গেরি বুডাপেস্ট হাঙ্গেরির রাজধানী খুব সস্তায় ঘুরে আসা যায়। ভাড়া,
খাবার ও দর্শনীয় স্থানগুলোর ভিড় কম।
বুলগেরিয়া বুলগেরিয়া ইউরোপের সবচেয়ে সস্তা দেশগুলির অন্যতম। এখানে খরচ খুব
কম লাগে।রোমানিয়া রোমানিয়াতে থাকা ও খাওয়ার খরচ অনেক কম। এছাড়াও এখানকার
দর্শনীয় স্থানগুলোও মূল্যবান। পর্তুগাল পর্তুগালের রাজধানী লিসবন অন্যান্য
ইউরোপীয় শহরের তুলনায় সস্তা। চেক রিপাবলিক প্রাগ খুব সস্তায় ঘুরে আসা
যায়।
এখানকার খাবার, আবাসন ও যাতায়াতের খরচ কম। ক্রোয়েশিয়া ক্রোয়েশিয়ার
কয়েকটি শহর ও দ্বীপপুঞ্জ সস্তা মূল্যে ঘুরে আসা যায়। এই দেশগুলোতে যেতে
টিকিট, থাকার জায়গা এবং খাবারের খরচ নিম্নমুখী হওয়ায় সামগ্রিক খরচ কম
লাগে। তবে প্রতিটি জায়গার জন্য ভিসা ও প্রবেশ বিধি আলাদা। সেখানে
সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ীই গন্তব্য নির্বাচন করা উচিত।
আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া যায়
আইইএলটিএস ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা ইউরোপের বেশকিছু দেশে যেতে পারেন।
এখানে কয়েকটি দেশের তালিকা দেওয়া হল:
পোল্যান্ড
হাঙ্গেরি
বুলগেরিয়া
রোমানিয়া
ক্রোয়েশিয়া
চেক রিপাবলিক
স্লোভাকিয়া
সার্বিয়া
মন্টেনেগ্রো
মাল্টা
সাইপ্রাস
এসব দেশে আপনি টুরিস্ট ভিসায় যেতে পারেন। আইইএলটিএস স্কোর দেখা লাগবে না।
তবে ভিসা আবেদনের সময় আপনাকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- যথেষ্ট
অর্থসম্পদের প্রমাণ, স্বাস্থ্যবীমা, হোটেল বুকিং আদি দিতে হবে।
আবার যদি শিক্ষা কিংবা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে আইইএলটিএস স্কোর
প্রয়োজন হতে পারে। কারণ বেশিরভাগ দেশই শিক্ষা ও কর্মভিসার জন্য ভাষাগত
দক্ষতার প্রমাণ চায়।
সুতরাং, ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্য এবং গন্তব্য দেশটির নীতিমালা অনুযায়ী
আইইএলটিএস বা অন্য কোন ভাষা পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে বা না-ও হতে পারে।
তাই আগেভাগেই এসব বিষয় খতিয়ে দেখা ভালো।
অনলাইনে ভিসা আবেদন কিভাবে করব
অনলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া নিম্নরূপ প্রথমে সেই
দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা সেকশনে অনলাইন আবেদনের লিঙ্কটি খুঁজে
বের করুন। লিঙ্কটিতে ক্লিক করে অনলাইন আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। ফরমে আপনার
নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নম্বর, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, অবস্থানকাল, থাকার ঠিকানা
ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর স্ক্যানকপি আপলোড করতে হবে। যেমন- পাসপোর্টের
কপি, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্বাস্থ্যবীমার নথি, হোটেল আমন্ত্রণপত্র
ইত্যাদি। এরপর আপনাকে নির্ধারিত ভিসা ফি অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে। এজন্য
ক্রেডিট ডেবিট কার্ডের বিবরণ দিয়ে পেমেন্ট করা যায়। পরবর্তীতে আপনাকে
অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এর মাধ্যমে দূতাবাসে কবে যেতে হবে
সেটা নির্ধারিত হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিনে দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য
প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কয়েক সপ্তাহ পর আপনার
ভিসার সিদ্ধান্ত অনলাইনে জানানো হবে। গৃহীত হলে পাসপোর্ট নিয়ে দূতাবাস থেকে
ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
অনলাইন প্রক্রিয়াটি অনেকটাই ওয়েবসাইট নির্ভর। তাই প্রতিটি পদক্ষেপ
ওয়েবসাইটের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং তথ্য
সঠিকভাবে দিতে হবে। অন্যথায় ভিসা প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ২০২৪
সরকারিভাবে ইউরোপে যাওয়ার উপায় ২০২৪ আমি অনেকগুলো উপায় আপনাদের সামনে তুলে
ধরেছি । ইউরোপে যাওয়ার আপনি খুব সহজেই ইউরোপে যেতে পারবেন কিভাবে ভিসা করতে
পারবেন অনলাইনে ভিসা করতে পারবেন অনেকগুলা মাধ্যম আমি আপনাদের সামনে তুলে
ধরেছি। আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়লে আপনার কাছে খুব সহজ হয়ে যাবে। বিষয়টা
আপনি যদি আমার এই পোস্টটি উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মানুষ শেয়ার করে
দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url