টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো - সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো আমরা সচরাচর টক দই খাই কিন্তু আমরা জানি না কিভাবে টক দই খেলে দ্রুত মেদ কমে যায়। আসুন জেনে নেই কিভাবে আমরা মেঝ ছড়াবো  এবং সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা জানুন।

টক দই খাওয়ার সঠিক সময়

টক দই খেলেই যে ওজন কমে যাবে বিষয়টা এমন না । কিভাবে টক দই খেলে দ্রুত ওজন কমানো যায় কে আমার এই পোস্টটিতে আমি তুলে ধরেছি। আসুন আমার এই পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে টক দই খেয়ে মেদ কমাবেন।

পোস্ট সূচিপত্র টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো - সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই খাওয়ার সঠিক সময়

বাসায় কিভাবে টক দই বানাবো

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়

টক দই খেলে কি গ্যাস হয়

রাতে টক দই খেলে কি হয়

পেটের মেদ কমাতে টক দই কি কার্যকর

লেখক এর মন্তব্য

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো

দই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা মেদ কমাতে সহায়ক। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকস এবং প্রোটিনগুলি শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং তৃপ্তি অনুভূতি বৃদ্ধি করে। তবে শুধু দই খেলে মেদ কমানো সম্ভব নয় এর সাথে আরো কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করলে মেদ কমানোর প্রক্রিয়াটি আরও গতিশীল হবে পরিমিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। 

কালোরি ঘাটতি রাখতে হবে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন যেমন - হাঁটা, জগিং, যোগ ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন অতিরিক্ত চিনি, ভাজা এবং প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি এবং ভালো খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন দইসহ সুষম এবং সন্তুলিত খাদ্য গ্রহণ 

এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ধীরে ধীরে মেদ কমবে এবং আপনি সুস্থ্য থাকবেন। আপনি নিয়মিত যদি টক দই সকালে খালি পেটে খান তাহলে অবশ্যই আপনার পেটের মেদ কমবে তার সঙ্গে আপনি হাঁটবেন ব্যায়াম করবেন তেলের খাবার গুলা আপনি এড়িয়ে যাবেন তাহলে অবশ্যই আপনি দ্রুত পেটের মেদ কমাতে পারবেন।

সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

সকালে টক দই খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে দই তে থাকা প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলো  করে এবং কষ্টসাধ্য খাবারগুলোকে সহজে পরিপাকযোগ্য করে তোলে। ইমিউনিটি বৃদ্ধি দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন ইত্যাদি পুষ্টিগুণ যা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে।

মেটাবলিক দক্ষতা বৃদ্ধি দইয়ের প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিকস মেটাবলিজম বা  প্রক্রিয়াকে দ্রুতগতিশীল করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ দইয়ের কম নেতৃত্ব ও পটাসিয়ামের উচ্চ মাত্রা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। উপকারী ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ প্রোবায়োটিক এবং আন্তঃক্ষরণজনিত অসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

পরিপূরকতা সকালের নাস্তার সাথে টক দই খেলে দিনের শুরুটা হয় পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সতেজ। সুতরাং সকালে টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে। তবে যদি ল্যাকটোজ আনটারেন্স থাকে তাহলে সাবধানে খেতে হবে।

বা আপনি কোন সালাত তৈরি করলেন সে স্যারদের সঙ্গে কিছু টক দই এড করে দিলেন। এতে করে আপনার খাবারের যে পুষ্টিগুণ সেটা আরও বেড়ে যায় । আপনি টক দইরা রাতে ঘুমানোর আগেও খেতে পারেন বা সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাবেন টক দের সঙ্গে চিয়া সিড এড করে নিলে আরো বেশি উপকার পাবেন।

টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই খাওয়ার নিয়ম আমরা কিন্তু টক দই সাধারণত খেয়ে থাকি বাবা ব্যবহার করে থাকি ত্বকের যত্নে হোক বা চুলের যত্নে হোক কিন্তু আমরা কি জানি টক দই খেলে আমাদের মেদ কমে যাবে । আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা টক দই খেলে পেটের মেদ কমে যায় । বা শরীরে বাড়তি চর্বি কমে যায় কিন্তু আমরা ইউটিউব দেখে বা অনেক মানুষের মুখে শুনে বা যেভাবেই হোক টক দই খেয়ে থাকি। 

হয়তো এভাবে খেয়ে আমাদের ওজন কমছে না তখন আমরা ভাবি না টক দই তো ওজন কমে না । কিন্তু টক দই অবশ্যই আপনার মেদ কমবে যদি আপনি সঠিক নিয়মে খান আসুন জেনে নিন । কিভাবে আপনি টক দই খেলে আপনার দ্রুত পেটের চর্বি কমে যাবে।

  • আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই চামচ টক দই খাবেন।
  • টক দইটা  কেনা না হলে ভালো হয় বাসাতে বানাবেন।
  • অতিরিক্ত টক দই খাবেন না।
  • টক দই ফ্রিজে রাখলে তা বের করে একটু পরে খাবেন।
  • টক দই আপনি অবশ্যই নিয়মিত খাবেন।
  • রাতে ঘুমানোর আগে দুই চামচ টক দই খাবেন।
  • টক দই এর সাথে চিয়া সিড মেশিয়ে নিবেন।

এভাবে খেলে অবশ্যই আপনার মেদ কমে যাবে খুবই দ্রুত আপনি আমার পোস্ট অনুযায়ী যদি  খেয়ে থাকেন । বা টক দই একই চিত্র মিশিয়ে খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার মেদ কমবে আপনি সাত দিনের রেজাল্ট পাবেন।

টক দই খাওয়ার সঠিক সময়

টক দই খাওয়ার সঠিক সময় সকালে এবং রাত্রে তাও আপনি দুপুরে খেতে পারেন নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক দেওয়া হল যেগুলা মেনে আপনি টক দেখাবেন। টক দই খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময়গুলো হলো ।

  • সকালে খালি পেটে সকালে খালি পেটে দই খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম সময়। এতে পাচনশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দিনের শুরু হয় পুষ্টিসমৃদ্ধভাবে। সকালের নাস্তার সাথেও দই খেতে পারেন।
  • দুপুরের খাওয়ার পর ২-৩ ঘন্টা  দুপুরের খাবার সেরে ২-৩ ঘন্টা পর দই খেলে এটি পাচনক্রিয়াকে সহায়তা করবে। তবে খাবারের সাথে সাথে দই খাওয়া উচিত নয়।
  • বিকালের নাস্তার সময় বিকালে চা/কফির সাথে কিছু দই খেতে পারেন।
  • রাতে এবং ঘুমানোর আগে দই খাওয়া এড়িয়ে চলা ভাল কারণ এটি পাচনক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং অম্লতা বা গ্যাস সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • যখন ওষুধ খাবেন তখন অন্তত ২ ঘণ্টা পর থেকে দই খাওয়া শুরু করুন।
  • একই সময়ে বেশি পরিমাণ দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন। দিনের বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট পরিমাণে দই খাওয়াই ভাল।

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো - সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা

সুতরাং সকাল এবং দুপুরের পর দইয়ের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এবং আপনি কোন ভারি খাবার খেয়ে নিয়েছেন কোন ভাজাপোড়া খেয়ে নিয়েছেন বা কোন ফাস্টফুডের খাবার খেয়ে নিয়েছেন তখন আপনি টক খেয়ে নিলেন। খাওয়ার পরিমাণ ও সময়ের ব্যবধান বজায় রাখলে দই থেকে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যাবে।

বাসায় কিভাবে টক দই বানাবো

বাসায় টক দই বানানোর প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- ১ লিটার গরম দুধ (উত্তাপ ৯০-৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)  
- ১ কাপ দই বীজ (প্রিয়াস বা ডালিম দই)
- ১টি বড় বাটি বা বোতল

প্রণালী:
১. দুধটি গরম করুন ৯০-৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপে। এজন্য দুধটিকে মিক্সারে গরম করুন বা চুলায় গরম করতে পারেন। কিন্তু দুধ ফুটতে দেবেন না।

২. গরম দুধটিকে একটি বড় বাটিতে নিন এবং তাতে ঠান্ডা হতে দিন অর্ধেক ঘন্টা।

৩. যখন দুধের তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে তখন সেখানে দই বীজ মিশিয়ে দিন এবং ভালোভাবে নাড়ান।

৪. এরপর দই বীজ মিশ্রিত দুধটি ঢাকা দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং গরম জায়গায় রেখে দিন ৬-৮ ঘন্টার জন্য।

৫. ৬-৮ ঘন্টা পর যখন দইটি ঘন হয়ে যাবে তখন সেটিকে রেফ্রিজারেটরে রাখুন।

৬. ২৪ ঘণ্টা পর, বাসায় বানানো ঘন টক দইটি তখন সেবনের উপযুক্ত হবে।

এভাবে খুব সহজেই বাসায় বানানো টক দই তৈরি করা যায়। প্রয়োজনে দই বীজের পরিবর্তে পাঁচটা দইয়ের উপস্থিতির সুবিধে নিতে পারেন।

ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই একটি পুষ্টিকর খাবার যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে পরিমাণ সীমাবদ্ধ রাখুন একবারে বেশি পরিমাণ দই খাবেন না। প্রতিদিন ১ কাপ বা তার কম দই খান। শুধু দই নয়, সম্পূর্ণ খাদ্যতালিকা গুরুত্বপূর্ণ দই খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর আহারও গ্রহণ করুন যেমন- শাকসবজি, ফলমূল, অামাদি ইত্যাদি। 

কালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করুন ওজন কমাতে হলে দৈনিক কালোরি গ্রহণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। দইও একটি কালোরিযুক্ত খাবার, সেজন্য অতিরিক্ত পরিমাণ পরিহার করুন। প্রোটিন বৃদ্ধি করুন দইয়ের মধ্যে প্রচুর প্রোটিন থাকে যা তৃপ্তি বোধ বাড়ায়। তাই ওজন কমানোর পরিকল্পনায় প্রোটিনের উৎস হিসাবে দই অন্তর্ভুক্ত করুন।

শরীরচর্চা করুন শুধু দই খেলেই ওজন কমবে না, তাই নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীরচর্চা করতে হবে। জিরো গ্রুপের খাবার এড়িয়ে চলুন দই খেয়েই যদি চিনি বা মিষ্টি খাবার খান তাহলে ওজন কমানো সম্ভব হবে না। পর্যাপ্ত পানি পান করুন দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন। সুতরাং পরিমিত পরিমাণে দই খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটিকে সহজ করবে।

ওজন কমাতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে এবং ওজন কমাতে হলে শুধু টক দই খেলেই হবে না । আপনাকে অবশ্যই হাঁটাহাঁটি করতে হবে এক্সেসাইজ করতে হবে এবং  ফাস্টফুড খাবার বন্ধ করতে হবে । যখন আপনি একসঙ্গে এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করবেন তখন আপনার এমনি শরীর থেকে মেদ কমে যাবে।

খালি পেটে টক দই খেলে কি হয়

খালি পেটে টক দই খেলে কি হয় আমরা হয়তো অনেক সময় টক দই খেয়ে থাকি কিন্তু কখন খাব কখন খেতে হবে এগুলা আমরা অনুসরণ করি না। আমরা জানি না কখন খেলে আমাদের পেট থেকে মেদ কমে যাবে বা শরীরে অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। আমরা খাবারের পরে খায় যখন তখন খেয়ে নিই ভাবি যে আমরা ওজন কমায় ফেলতে পারবো কিন্তু তা কি হয় না সেটা কখনোই হয় না।

 আমাদের প্রতিটা জিনিসেরই সঠিক একটি সময়ে বা নির্দিষ্ট একটি সময় অনুসরণ করে করতে হয় খালি পেটে টক দই খেলে আমরা কতটা উপকার পাব। সেটা হয়তো আমরা জানি না সারারাত ঘুমিয়ে থাকার পর আমাদের শরীর একদম স্তব্ধ হয়ে থাকে । ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পর খালি পেটে যদি আমরা টক দই খাই তাহলে আমাদের পেটের মেদ দ্রুত কমে যাবে তো । বুঝতেই পারলেন খালি পেটে টক দই খেলে আপনার কি হতে পারে খালি পেটে টক দই খেলে আপনার পেটের মেয়ে দ্রুত কমে যাবে।

টক দই খেলে কি গ্যাস হয়

টক দই খেলে কি গ্যাস হয় হ্যাঁ, টক দই খাওয়ার কারণে কিছু লোকের ক্ষেত্রে গ্যাস বা বায়ুর সমস্যা হতে পারে। এর কারণগুলি নিম্নরূপ ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা: যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে দই খাওয়ার পর গ্যাস হওয়া স্বাভাবিক। কারণ ল্যাকটোজ হজম করতে না পারায় এটি পরিপাকতন্ত্রে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয় যা গ্যাস তৈরি করে।

দ্রুত খাওয়া যদি খুব দ্রুত দই খাওয়া হয় তাহলে বায়ু গিলে ফেলা হয় যা পরবর্তীতে গ্যাস হিসাবে প্রকাশ পায়। বেশি পরিমাণে গ্রহণ বেশি পরিমাণে দই খাওয়া হলে তা  চাপ সৃষ্টি করে যা গ্যাসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। দইয়ের সাথে যদি আঁচার, মরিচ বা গরম মশলা মিশানো হয় তবে তা অনেকের পেটের সমস্যা বাড়াতে পারে।

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস বা জীবাণু কিছু লোকের ক্ষেত্রে পরিপাকতন্ত্রে গ্যাস তৈরি করতে পারে। তবে এগুলো প্রতিকারযোগ্য। দই খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে, ধীরে ধীরে খাওয়া এবং পানি পর্যাপ্ত পান করলে গ্যাসের সমস্যা কমে আসবে। যদি সমস্যাটি বেশি থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

রাতে টক দই খেলে কি হয়

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো রাতে টক দই খাওয়ার বিষয়টি সাধারণত পরামর্শ করা হয় না। কারণ এর কিছু অনিষ্ট প্রভাব থাকতে পারে
 রাতে খাওয়ার ফলে পাচনক্রিয়ায় বিরতি ঘটে। কারণ এ সময় শরীরের কম থাকে। ফলে পেটের অসুবিধা, অম্লতা, গ্যাস হতে পারে।ঘুমের বিঘ্ন রাতে দই খেলে অনেকের ঘুম ভাঙ্গা যায়। পাচনক্রিয়ার কারণে পেটে বিরক্তিকর অনুভূতি হতে পারে যা ঘুমকে বাধাগ্রস্থ করবে।

ওজন বৃদ্ধি রাতে খাওয়া ক্যালোরি দহন হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ফলে ওজন বাড়তে পারে। বিশেষত যারা অতিরিক্ত ওজন রাখতে চান না তাদের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। মেটাবলিক সমস্যা রাতে খাওয়ার ফলে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে, যা মেটাবলিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বাসায় কিভাবে টক দই বানাবো



তবে কিছু বিশেষ অবস্থায় রাতে দই খাওয়া চলে যেমন- অসুস্থ অবস্থায়, অতিরিক্ত খিদে পেলে। সেক্ষেত্রে ১ কাপ দই খাওয়া যায়। সুতরাং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হিসাবে সকালে খালি পেটে বা দুপুরের খাওয়ার পরে দই খাওয়াই নিরাপদ ও উপকারী।

পেটের মেদ কমাতে টক দই কি কার্যকর

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো পেটের মেদ কমাতে টক দই খাওয়া কার্যকর হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র দই খেলেই মেদ কমবে না, এর সাথে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে প্রোটিন সমৃদ্ধ দই প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘক্ষণ তৃপ্তি বোধ জন্মায় এবং মেটাবলিক রেট বাড়ায়। এতে পেটের মেদ কমে।

ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র দই খেলেই ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য খাবারের সাথে মিলিয়ে সর্বমোট ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রোবায়োটিকস দইয়ে প্রোবায়োটিক রয়েছে যা পাচনক্রিয়া সহজ করে এবং হর্মোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে যা মেদ কমাতে সহায়ক।

শরীর চর্চা নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম এবং একটি সামগ্রিক পুষ্টিকর খাদ্য পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দই খেলে মেদ কমানোয় অনেক বেশি কার্যকর হবে। পরিমিত পরিমাণ বেশি পরিমাণ দই খাওয়া যাবে না, প্রতিদিন ১ কাপ এর বেশি নয়। সুতরাং দিনের বিভিন্ন সময়ে পরিমিত পরিমাণে দই খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা ও সন্তুলিত খাদ্যাভ্যাসের সাথে মিলিয়ে পেটের মেদ কমাতে টক দই কার্যকরভাবে সাহায্য করতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য

টক দই খেয়ে কিভাবে মেদ কমাবো সকালে টক দই খাওয়ার উপকারিতা আসুন আমরা জেনে নেই। আপনি কিভাবে  ফেলতে পারবেন আপনি কিভাবে টক দই খেয়ে নিজের ওজন কমাবেন। এবং দ্রুত শরীরের মেদ চর্বি কমিয়ে ফেলবেন সেই বিষয়ে আমি আমার এই পোস্টটিতে লিখেছি। আশা করছি করলে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায় প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url