১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় - শিশুকে আম খাওয়ানো টিপস
mst Borna
১৭ জুন, ২০২৪
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় আসুন জেনে নেই । আমি আমার এই আর্টিকেলটাতে
তুলে ধরেছি কিভাবে আপনি 10 মাসের বাচ্চাকে আম খাওয়াবেন তার সম্পূর্ণ
বিস্তারিত।
প্রিয় পাঠক বাচ্চাদের খাবার দাবার নিয়ে আমরা সবসময় অনেক চিন্তিত থাকি। তারপরে
এখন আমের সিজেন আম কিভাবে খাওয়াবো সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি । আসুন জেনে নেই আমরা
বাচ্চাদেরকে আম কিভাবে খাওয়াবো আমারে আর্টিকেলটা পড়ে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্র ১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় - শিশুকে আম খাওয়ানো
টিপস
বাচ্চাদের আম খাওয়ানোর বহু উপকারিতা রয়েছে। আম একটি খুব পুষ্টিকর ফল। এতে
রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যা বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও
বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি আমে ভিটামিন সি
এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য
করে।
পরিপাক সহায়তা আমে রয়েছে পালাঙ্ক যা পরিপাক প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং
কন্সটিপেশন দূর করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য আমে ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় এটি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ আমে ফাইবার এবং জল সমৃদ্ধ থাকায় এটি পেটের ভরাট অনুভূতি
দেয় যা অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ এড়াতে সাহায্য করে।
চর্মের স্বাস্থ্য আমের ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো চর্মের স্বাস্থ্য
বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, আম বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের
জন্য এক অনন্য উত্স। তাই নিয়মিত আম খাওয়ানো উচিত বাচ্চাদের পুষ্টি নিশ্চিত
করতে।
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায়
১০ মাসের বাচ্চাদেরকে আম খাওয়ানো যায় আপনারা হয়তোবা মনের মধ্যে এই
প্রশ্নটি রেখে দিয়েছেন হ্যাঁ অবশ্যই 10 মাসের বাচ্চাকে আম খাওয়ানো যাবে । তবে
অল্প করে খাওয়াতে হবে আপনি আপনার শিশুকে আম খাওয়ানোর অভ্যাস করুন । সেটি
অল্পমাত্রায় দিয়ে অভ্যাস করুন আপনার বাচ্চাকে সাদ গ্রহণ করতে দিন।
পাকা আমের উপকারিতা
পাকা আমের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে যেমন পাকা আমে থাকে বেশ পরিমাণ পালঙ্ক
যা পরিমাপ প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে । পাকা
আমে রয়েছে প্রচুর এনার্জি আমি থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি বা যা
শরীরকে দ্রুত এনার্জি সরবরাহ করে । পাকা আমে থাকে বেশ পরিমাণ ভিটামিন সি ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যার শরীরের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে আমি থাকা পটাশিয়াম
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে । পাকা আমের এমিলেস এনজাইম শক্তিশালী
হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পাকা আম খেলে
অনেক অসুবিসুর শরীর থেকে ভালো হয়ে যায় পাকা আম খেলে ত্বক অনেক সুন্দর থাকে।
কতটুকু আম বাচ্চাদেরকে খাওয়ানো যাবে
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় বাচ্চাদের প্রতিদিন কতটুকু আম খাওয়ানো
উচিত সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন পরিমাপ নাই তবুও বাচ্চার বয়সের উপর ডিপেন্ড করবে
আপনি বাচ্চাকে কতটুকু আম খাওয়াবেন। ছয় মাস থেকে এক বছরের বয়সী শিশুদের জন্য
অর্ধেক থেকে তারাও একটু কম আম দেয়া যেতে পারে। এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের
জন্য প্রতিদিন আধা থেকে পুরো একটি আম খাওয়ানো যেতে পারে।
আপনি খেয়াল করে দেখবেন আপনার শিশুটিকে আমের প্রতি খুবই আগ্রহী কিনা। তিন থেকে
ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় আম খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চা যদি একটু বেশি পছন্দ করে তাহলে কোন সমস্যা নেই । ছয় বছরের বেশি
বাচ্চাদের প্রতিদিন একটা থেকে দুইটা আম খাওয়ানো উচিত।
পুষ্টিবিদদের মতে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো দিনে অন্তত দুইটি ফল খাওয়া উচিত । তবে
শুধু বয়স নয় বাচ্চার খাদ্যভাস স্বাস্থ্য অবস্থা শারীরিক সচলতার ওপর নির্ভর
করবে। প্রতিদিন আম গ্রহণের পরিমাপ সামগ্রিকভাবে অভিভাবকরা যদি অতিরিক্ত
গ্রহণের লক্ষণ লক্ষ্য করে তাহলে আমের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া লাগবে।
শিশুদের মধ্যে আমের এলার্জি
কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে আম খাওয়ানোর পরে এলার্জির প্রক্রিয়া দেখা যেতে পারে আম
একটি সাধারণ এলার্টজেন যা শিশুদের মধ্যে এলার্জি প্রক্রিয়া ঘটাতে পারে কি কি
সমস্যা হতে পারে সেটাই নিজে তুলে ধরলাম
মুখ ঠোঁট জিহ্বা ও গলার এরকম জায়গায় ফোলা
চুলকানি বা দানাদার রেশ বের হতে পারে
চোখে জ্বালাপোড়া বা চোখ লাল হয়ে যেতে পারে
নাক দিয়ে পানি পড়া বা সর্দি একটু বেশি মনে হতে পারে
বমি বমি ভাব হতে পারে খাবারের অরুচি হতে পারে
পেট খারাপ বা ডায়রিয়া
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি হতে পারে
মাথা ঘোরাতে পারে বা অচেতন হতে পারে
যদি এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে গুরুতর
এলার্জির ক্ষেত্রে রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে । অনেক সময়
শিশুরা বড় হয়ে এই এলার্জির কাটিয়ে যায় কিন্তু যারা যাদের থেকে যায় তাদের
নামসহ সকল এলার্জির খাবার এড়িয়ে চলতে হয় শিশুদের কোন এলার্জি প্রক্রিয়া
দেখা দিলে সেভাবে চলতে হবে।
নয় মাসের বাচ্চাকে কি আম খাওয়ানো যাবে
আপনি নয় মাসের বাচ্চাকে আম খাওয়াতে পারবেন । কিন্তু খুবই কম অল্প দিয়ে
প্রথমে চেষ্টা করবেন বাচ্চার মুখে স্বাদ লাগানোর জন্য । আপনার বাচ্চা যখন বুঝতে
পারবে তার কাছে ভালো লাগছে তখন সে আস্তে আস্তে আরো বেশি খেতে চাইবে কিন্তু এরকম
বয়সে আপনি অল্প তাকে দেয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি দিবেন না আমটা কেটে কখনোই তার
হাতে ধরিয়ে দিবেন না আমটাকে জুস করে তার সামনে দেয়ার চেষ্টা করবেন । এতে করে
বাচ্চার গলাতে আটকাবে না এবং বাচ্চা খেয়ে আরাম পাবে আপনি খেয়াল করবেন আপনার
বাচ্চাকে আম খাওয়ানোর পরে বাচ্চার এলার্জির কোন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কিনা। আপনার
বাচ্চাকে অল্প অল্প করে আম খাওয়ানোর অভ্যাস করুন ।
শিশুকে আম খাওয়ানো টিপস
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় শিশুদের আম খাওয়ানোর কিছু গুরুত্বপূর্ণ
টিপস নিম্নে তুলে ধরলাম আপনারা এগুলো মেনে চললে আপনার বাচ্চা অবশ্যই আম খেতে
পছন্দ করবে
সাদ গ্রহণ করতে সাহায্য শুরু থেকে এই শিশুদের আম খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে
তুলুন এতে করে তারা সাতটা পছন্দ করতে শিখবে
প্রথমে খুব কম পরিমাণ আম দেয়া শুরু করুন তারপরে আস্তে আস্তে বাড়িয়ে
যান
শিশুদের সাধারণত আমটাকে সুন্দর করে জোক করে দেওয়া উচিত
প্রথমবার আম খাওয়ার পর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা শিশুর লক্ষ্য রাখুন যাতে কোন
এলার্জিক প্রক্রিয়া দেখা না যায়
শিশুরা রঙিন ও মজাদার আকারের উপস্থাপিত খাবার খেতে পছন্দ করে তাই তাদের
পছন্দ বাড়াতে আকর্ষণীয় ভাবে আম তাদের সামনে পরিবেশ করুন
আমকে দই চিনি বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেন
শিশুরা অনুকরণ করে অন্যজনকে তাই আপনি নিজে আম খেয়ে শিশুকে উৎসাহিত করুন
নরম করে অবশ্যই আপনি আপনার বাচ্চার মুখে দিবেন শক্ত অবস্থায় না
আপনারা যদি এই উপকরণ গুলো মেনে আপনার বাচ্চার সামনে আম পরিবেশন করুন। তাহলে
দেখবেন আপনার বাচ্চা খুব সহজে আম খাওয়া শিখে নিচ্ছেন । এবং তারা খুব মজার সাথে
আম খাচ্ছে এবং তাদের প্রতিদিন আম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হচ্ছে।
কখন শিশুকে আমের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যায়
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় জেনে নিন কখন শিশু কে আমের সাথে পরিচয়
করিয়ে দেওয়া যায় । আপনার শিশু যখন থেকেই আপনার একটু একটু করে সব খাবার
তাকে চেনানো উচিত । সে তুলনা অনুযায়ী আপনি আমটাকে অবশ্যই নয় মাস থেকে দশ
মাস বয়সের মধ্যেই তাকে চেনাবেন। বা খাওয়া শেখাবেন একটু একটু করে আপনার
বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে আমি সাট্টা মুখে মানিয়ে নিবে । এবং খেতেও পছন্দ
করবে আম হচ্ছে একটি মিষ্টি ফল।
আমের পুষ্টি ও তথ্য
আমি কি খুবই পুষ্টিকর ফল এই ফল আমরা সবাই খেয়ে থাকি মজা করে আমে শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্য এবং অন্ধকারে দেখার
ক্ষমতা বৃদ্ধি সহায়ক করের অনেক পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে অনেক রকম ভিটামিন
সরবরাহ করে। এই আম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ অন্যতম ভূমিকা পালন করে আরও মাংসপেশির
স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রক্ত তৈরি করতে সহায়তা করে রক্তস্বল্পে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো একটি ফল।
ভিটামিন ও খনিজ:
ভিটামিন সি - শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
ভিটামিন এ - চোখের স্বাস্থ্য এবং অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
পটাসিয়াম - রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
ম্যাগনেসিয়াম - হাড় ও মাংসপেশীর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে
আমে মাত্রাতীত প্রোটিন ও চর্বি থাকে না তবে কিছু পরিমাণে রয়েছে।
এছাড়াও আমে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, কপার ইত্যাদি বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। সবমিলিয়ে আম একটি সম্পূর্ণ পুষ্টিকর ফল যা
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
শিশুকে আম খাওয়ানোর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
শিশুকে আম খাওয়ানোর স্বাস্থ্যকর উপকারিতা আমি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে
। আম খাওয়ালে বাচ্চা অনেক সুন্দর হবে এবং সুস্থ থাকবে আম যেমন শরীরের জন্য
উপকারিত এমনই ত্বকের জন্য। উপকারিত আম খেলে চুল সুন্দর থাকবে ছোট বাচ্চারা আম
খাওয়ালে তাদের বাথরুমে সমস্যা দূর হয়ে যাবে ।
এবং বাচ্চাকে আম খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে ছোট বাচ্চা হলে অল্প করে আম
খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে । আস্তে আস্তে বাচ্চার অভ্যাস হয়ে যাবে বাচ্চাদের
ক্ষেত্রে আম হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খাওয়ালে বাচ্চা সুস্থ সবল ও সুন্দর
থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য
১০ মাসের বাচ্চাদের কি আম খাওয়ানো যায় বা শিশুকে আম খাওয়ানো টিপস
আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরেছি । আমরা বাচ্চাদের খাবার দাবার নিয়ে অনেক চিন্তিত
থাকি কোনটা খাওয়ালে আমার বাচ্চার শরীর খারাপ করবে কোনটা খাওয়ালে ভালো হবে।
এগুলো বিষয়ে আমরা খুব সচেতন কিভাবে আম খাওয়ালে আপনি আপনার বাচ্চাকে সুস্থ
রাখতে পারবেন।
আম খাওয়ানোর টেকনিকগুলো আমি সবগুলো তুলে ধরেছি আমি আমার এই পোষ্টের মধ্যে আশা
করছি আপনি আমার এই পুরো পোস্টে করলে জানতে পারবেন। বাচ্চাকে কিভাবে আম খাওয়ালে
বাচ্চার খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়বে আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত
হন । তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url