পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না । কিভাবে ঘরোয়া
পদ্ধতিতে আপনি আপনার দাঁতের ব্যথা ভালো করবেন এবং দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া
উপায় জেনে নিন।
দাঁতের ব্যথার জন্য আমরা এলাপতি হোমা পতি কত ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের
দাঁতের ব্যথা ভালো হয় না যেখান সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে খায় তবুও ভালো হয় না ।
আমি আমার এই পোষ্টের মধ্যে তুলে ধরেছি কিভাবে আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে
দাঁত পোকা ভালো করবেন।
পোকা দাঁতের ব্যথা কমাতে কিছু পরামর্শ এখানে তুলে ধরা হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনিই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারবেন ব্যথার কারণ এবং
প্রয়োজনীয় চিকিত্সা কী হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ
করুন যাতে ব্যথা কিছুটা কমে। তবে ওষুধ শুধু সাময়িক প্রশমন দিবে। আইস প্যাক পোকা
দাঁতের বাইরের অংশে আইসপ্যাক রাখুন। এতে স্থানীয় ভাবে অধিক রক্তপ্রবাহ থেকে
সহায়তা পাবেন এবং একটু আরাম পাবেন।
গরম ফোঁটা কিছু সময় পর পর গরম জল দিয়ে মুখ ধাওয়া করলে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল থেকে
রক্ত ও পঁয়কা বের হতে সাহায্য করবে। ঘরোয়া পরিষ্কার মিশ্রণ লবণ মিশ্রিত গরম জল
বা লেবুর রসে কুলি করা উপকারী হতে পারে। পরিষ্কার খাবার: তরল বা কোমল খাবার গ্রহণ
করুন যাতে ক্ষতস্থানে চাপ না পড়ে।সর্বোপরি দ্রুত একজন দন্ত চিকিৎসকের সাথে
যোগাযোগ করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের পোকা দূর করার জন্য দাঁতে অনেক ব্যথা করে আমরা দাঁতের ব্যথায়
অনেকেই ভুক্তভোগী দাঁতের ব্যথার জন্য আমরা রাতে ঘুমাতে পারি না কোন কোন উপায়ে
আপনি দাঁতের ব্যথা ভালো করবেন নিচে দেওয়া হল
লবণ মিশ্রিত গরম জল: একচামচ লবণ একগ্লাস গরম জলে মিশিয়ে দিন। এই দ্রবণে
মুখ কুলি করলে পোকার সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
লেবুর রস: লেবুর রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান
রয়েছে। লেবুর রস দিয়ে মুখ কুলি করলে পোকা সারাতে সাহায্য করবে।
রসুন: রসুনের অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলী আছে। রসুনের রস কিংবা চটি দিয়ে
দাঁতের পোকা ঘষলে সারাতে সাহায্য করবে।
তুলসী: তুলসীর পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান
রয়েছে। তুলসীর রস দিয়ে দাঁতের পোকা ঘষলে সারাতে সহায়তা করবে।
আদা: আদার রস এ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় পোকার সংক্রমণ প্রশমিত
হতে পারে। দাঁতে আদার রস লাগিয়ে রাখুন।
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা ও মুখ পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এগুলো শুধু সাময়িক সমাধান। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য একজন দন্ত চিকিৎসকের
পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
দাঁতের পোকা বের করার গাছ
দাঁতের পোকা বের করার জন্য কিছু গাছের শাখা-পাতা ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু হল নিমের পাতা ও শাখায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল,
অ্যান্টি-ফাংগাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী রয়েছে। নিমের পাতার রস বা
শাখার ছিবড়া দিয়ে দাঁতের পোকা ঘষলে সংক্রমণ কমে এবং পোকা বের হতে সাহায্য
করে।
বকুলের গাছের পাতা ও শাখায় অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে। এদের দিয়ে দাঁতের
পোকা ঘষার ফলে পোকা বের হতে সহায়তা করে। জায়ফলের অ্যান্টিসেপটিক ও
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী আছে। জায়ফলের গুঁড়া বা চটি দিয়ে দাঁতের পোকা
ঘষলে তা বের হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
কালমেঘের শাখা-পাতায় শক্তিশালী জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে। এর রস বা গুঁড়া দাঁতের
পোকায় লাগালে তা বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তুলসীর পাতায়
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী থাকায় এটি দাঁতের পোকা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
তুলসীর রস দিয়ে দাঁতের পোকা ঘষলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। তবে স্মরণ রাখতে হবে,
এগুলো শুধু সাময়িক প্রশমন দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য একজন দন্ত
চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
দাঁতের পোকা বের করার দোয়া
দাঁতের পোকা বের করার জন্য একাধিক দোয়া ও মুনাজাত রয়েছে। কোরআনের আয়াত
পড়ে ব্যথা স্থানে প্রকাশস্থানে বা আপনার যেখানে কষ্ট হচ্ছে সেখানে ফু দিলে অতি
সহজেই সে ব্যথা বেশ ভালো হয়ে যায় । সে ক্ষেত্রে দাঁতের পোকাও ভালো হয় কোন
দোয়াগুলা পড়লে দাঁতের পোকা ভাল হবেনে দেওয়া হলো ।
আয়াতুল কুরসীর দোয়া
এই পবিত্র আয়াতটি পাঠ করে ফুঁ দিয়ে দাঁতের পোকা ঘষতে হয়। বিশ্বাস করা হয়
এতে আল্লাহর তাওফিক লাভ হবে।
ইখলাস, ফালাক ও নাস সূরা পাঠ করে ফুঁ দেওয়া
এই তিনটি সূরা তিলাওয়াত করে দাঁতের ওপর ফুঁ দিলে সৌভাগ্যবান হওয়া যায়।
এগুলো শুধু কিছু নমুনা। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ
অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। দোয়া ও চিকিত্সা উভয়ই করা উচিত।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের গর্ত দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো সাময়িকভাবে
সাহায্য করতে পারে। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য একজন
দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। ঘরোয়া উপায়গুলি নিম্নরূপ লবণ
মিশ্রিত গরম জল: প্রায় এক চামচ লবণ মিশিয়ে গরম জলে মুখ কুলি করলে তা
জীবাণুমুক্ত করতে সাহায্য করবে এবং গর্তের অবস্থা আরও খারাপ হওয়া প্রতিরোধ
করবে।
লেবুর রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। একটু লেবুর রস নিয়ে দাঁতের
গর্তের জায়গায় মাখিয়ে রাখুন। এতে গর্তের সংক্রমণ প্রতিরোধ হবে। রসুনের
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী আছে। রসুনের রস বা চটি দিয়ে
গর্তস্থান ঘষলে সাহায্য পাবেন। তুলসীর পাতার রস অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায়
গর্তের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
মরিচের গুঁড়ো দাঁতের গর্তে মাখলে তাতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ কাজ
করবে। আদা হল স্বাভাবিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। আদার রস লাগালে দাঁতের গর্ত থেকে
প্রদাহ কমিয়ে আনতে পারে। স্মরণ রাখবেন, এগুলো শুধুমাত্র সাময়িক সমাধান।
গর্তের জটিলতা বাড়লে অবশ্যই দন্তচিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ
করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এগুলো শুধুমাত্র সাময়িক সমাধান।
দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য একজন দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
লবণ জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন লবণ মিশ্রিত গরম জলে মুখ কুলি করলে
তা দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে সহায়তা করবে। তুলসীর পাতার রসে
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী রয়েছে। দাঁতের মাড়ির
ওপর তুলসীর পাতার রস লাগালে মাড়ি ক্ষয় রোধে সাহায্য করবে। লেবুর রসে থাকা
অ্যাসিডিক গুণ জীবাণু হ্রাস করে এবং মাড়ির ওপর বিকৃত অবস্থান তৈরি হওয়া
প্রতিরোধ করে।
রসুনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী রয়েছে। রসুনের
রস দাঁতের মাড়ির ওপর লাগিয়ে রাখলে তা ক্ষয় রোধে সাহায্য করবে। নিম পাতার
রসে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাংগাল গুণাবলী। এগুলো
মাড়ির ক্ষয় রোধে সহায়ক। এগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী রয়েছে।
মাড়ির ওপর এগুলো লাগালে প্রদাহ কমবে। এছাড়াও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য
প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ আহার গ্রহণ, বেশি মিষ্টি এবং অ্যাসিডিক খাবার
এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়
দাঁত ক্ষয়ের প্রধান কারণ হল কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের অভাব। এই
ভিটামিনগুলো হল:
ভিটামিন সি (Vitamin C)
ভিটামিন সি দাঁতের মাড়ি ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর অভাবে দাঁতের মাড়ি দুর্বল হয়ে যায় এবং দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার
ঝুঁকি বেড়ে যায়। ভিটামিন সি অভাবজনিত রোগ স্কারভি দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ের
প্রধান কারণ।
ভিটামিন ডি (Vitamin D)
ভিটামিন ডি দেহে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে। এর অভাবে দাঁত ও হাড়
দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন ডি'র প্রাচুর্য দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায়
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্যালসিয়াম (Calcium)
ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠন এবং সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
এর অভাবে দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে
যায়।
ফসফরাস (Phosphorus)
ক্যালসিয়ামের মতোই ফসফরাসও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর
অভাবেও দাঁত ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন কে (Vitamin K)
ভিটামিন কে দাঁতের সঙ্গে সম্পর্কিত হাড়গুলোর স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়তা
করে। এর অভাবে দাঁতের হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।
তাই দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ
পদার্থসমৃদ্ধ আহার গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। একই সাথে প্রয়োজন মতো বিশেষজ্ঞ
পরামর্শ এবং নিয়মিত দন্ত পরিদর্শনের।
দাঁতের ক্ষয় রোধের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
দাঁতের ক্ষয় রোধে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে স্মরণ রাখতে
হবে যে এগুলো শুধুমাত্র সাময়িক সহায়তা করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের
জন্য একজন বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা প্রয়োজন।
নিম্নে কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম দেওয়া হলো
ক্যালকারিয়া ফসফরিকা দাঁতের গঠন ও মাড়ির ক্ষয় রোধে এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।
ক্রেটেগাস দাঁতের মাড়ির ক্ষয় এবং জিঙ্গিভাইটিস প্রতিরোধে ব্যবহৃত
হয়।
ম্যাগনেসিয়া ফসফরিকা দাঁতের বেদনা ও প্রদাহ প্রশমনে সহায়ক।
ফ্যারাম ফসফরিকাম দাঁতের প্রদাহ এবং পঁচানাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
সিলিসিয়া মাড়ি ও দাঁত শক্তিশালী করতে এবং ক্ষয় রোধে ব্যবহৃত
হয়।
কালি মিউর জিঙ্গিভাইটিস এবং দাঁতের বেদনা প্রশমনে সাহায্য করে।
ন্যাট্রাম মিউর জিঙ্গিভাইটিস প্রতিরোধ ও দাঁতের পরিপাকস্থলীতে কাজ
করে।
হেপার সালফর মাড়ির সংক্রমণ ও বেদনা প্রশমনে নিয়োজিত।
এসব ঔষধগুলি শুধুমাত্র সাময়িক উপশম দিতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য
একজন দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।
লেখক এর মন্তব্য
পোকা দাঁতের ব্যথা কমানোর উপায় এবং দাঁতের গর্ত দূর করা ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
আপনাদের সামনে আজকে আমি তুলে ধরেছি । আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়লে
জানতে পারবেন দাঁতের পোকা ভালো করতে বা দাঁত ভালো রাখতে কত রকম উপায়ে আপনি
তাদের ওপর যত্ন নিতে পারেন। এবং দাঁতের যে ওষুধগুলো খেলে আপনার দাঁতের ব্যথা
দ্রুত ভালো হয়ে যাবে সেই সম্বন্ধেও আপনাদের সামনে আমাদের এ পোষ্টের মাধ্যমে
তুলে ধরেছি । আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে দাঁত
ভালো রাখা যায়। আপনি যদি আমারে পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার
বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url