জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি জেনে নিন

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি জেনে নিন আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না । যে কত রকম ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায় আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরেছি আপনি কত রকম ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি জেনে নিন


আপনি কি জন্ম নিয়ন্ত্রণের সঠিক পদ্ধতিটি খুঁজছেন তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতে এসেছেন । আমার এই আর্টিকেলে সঠিক মন্তব্য দেয়া আছে এবং আপনি জানতে পারবেন । কত রকম ভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই সকল বিষয় জানতে আমার এই আর্টিকেলটা পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি জেনে নিন

স্বল্প মেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি  গর্ভনিরোধক ব্যারিয়ার পদ্ধতিসমূহ:

  • কনডোম (পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য)
  • সান্ধ্যিক কাপড় (ডায়াফ্রাম)
  • গর্ভনিরোধক স্পঞ্জ
  • গর্ভনিরোধক হরমোনাল পদ্ধতিসমূহ: 
  • গর্ভনিরোধক বড়ি (পিল)
  • ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন (প্রতি 3 মাস অন্তর ইনজেকশন দিতে হয়)
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ জন্য অন্যান্য পদ্ধতিসমূহ:
  • নিরাপদ সময়ে মিলন (ক্যালেন্ডার বা রিদম পদ্ধতি)
  • স্তন্যপান অবস্থায় গর্ভধারণ প্রতিরোধ (LAM পদ্ধতি)
  • জরায়ুর অ্যাসিড (স্পারামাইসাইড)

এই পদ্ধতিগুলি খুব স্বল্পমেয়াদী এবং প্রয়োজন হলে তা বন্ধ করা যায়। তবে কিছু পদ্ধতি হরমোনাল, যা শরীরের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার জন্য একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

অস্থায়ী বা সাময়িক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি হলো:

1. ব্যারিয়ার পদ্ধতি:

  • কনডোম (পুরুষ ও মহিলা)
  • সান্ধ্যিক কাপড় (ডায়াফ্রাম)
  • গর্ভনিরোধক স্পঞ্জ

2. হরমোনাল পদ্ধতি:  
  • গর্ভনিরোধক বড়ি (পিল)
  • ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন (প্রতি 3 মাসে)
3. অন্যান্য পদ্ধতি

  • নিরাপদ সময়ে মিলন (ক্যালেন্ডার/রিদম পদ্ধতি)
  • স্তন্যপান অবস্থায় গর্ভধারণ প্রতিরোধ (LAM)  
  • জরায়ুর অ্যাসিড (স্পারমাইসাইড)

এগুলি অস্থায়ী এবং যেকোনো সময় বন্ধ করা যায়। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার ও নিয়মিত মেনে চলার উপর ফলপ্রসূতা নির্ভর করে। দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি যেমন- আইউসিডি, ইম্প্লান্ট ইত্যাদি চিকিত্সকের সহায়তায় স্থাপন করতে হয়। সঠিক পদ্ধতি বেছে নেওয়ার আগে একজন চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ প্রতিটি পদ্ধতির কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা আধুনিক পদ্ধতি

পরিবার পরিকল্পনায় ব্যবহৃত আধুনিক পদ্ধতিগুলি নিম্নরূপ:

1. দীর্ঘমেয়াদী সঙ্গম প্রতিরোধক পদ্ধতিসমূহ:

  • আইউসিডি (ইনট্রা ইউটারাইন ডিভাইস) - একটি হরমোন ও কপার যুক্ত ছোট যন্ত্র যা গর্ভাশয়ে স্থাপন কতের নিচের ত্বকের নিচে রাখা হরমোন যুক্ত ছোট বাঁশের মত কিছু। 3-5 বছর কার্যকর থাকে।
  • স্থায়ী সঙ্গম প্রতিরোধক পদ্ধতিসমূহ:
  • পুরুষ নসবন্ধি (ভেসেকটমি)  
  • নারী নসবন্ধি (টুবেকটমি বা লাইগেশন)

নৈসর্গিক পদ্ধতিসমূহ: 

  • নিরাপদ সময়ে মিলন (ক্যালেন্ডার/বিলম্বিত রিদম পদ্ধতি)
  • স্তন্যপান অবস্থায় গর্ভধারণ প্রতিরোধ (LAM)

4. বায়োমেডিক্যাল পদ্ধতিসমূহ:

  • গর্ভনিরোধক বড়ি (ওরাল পিল)  
  • ডিপো-প্রোভেরা ইনজেকশন (প্রতি 3 মাস অন্তর)
  • নভারিং (ইনজেকশন - প্রতি 2 মাস অন্তর)

এছাড়াও ব্যারিয়ার পদ্ধতি যেমন কনডোম, ডায়াফ্রাম ও জরায়ুর অ্যাসিড ব্যবহৃত হয়। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার জন্য একাধিক পদ্ধতি মিলিয়ে ব্যবহার করা হয়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত প্রকার

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি  জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকারের। প্রধান প্রধান পদ্ধতিগুলি হলো:

১. ভৌত পদ্ধতি:

  • কন্ডম (পুরুষ ও মহিলা উভয় প্রকার)
  • ডায়াফ্রাম
  • স্পারমিসাইডাল ক্রিম/জেল

২. হরমোনাল পদ্ধতি: 

  • বর্থ কন্ট্রোল পিল
  • ডিপো প্রোভেরা ইনজেকশন
  • নরপ্ল্যান্ট ইম্প্লান্ট

৩. আযূর্বৈদিক পদ্ধতি:

  • স্থায়ী অন্তরালে আধুনিক গর্ভনিরোধক ব্যবহার 
  • চিকিৎসা সহায়ক ঔষধ

৪. বাঁধ্যাকরণ:

  • পুরুষদের বাঁধ্যাকরণ (ভেসেকটমি)
  • মহিলাদের বাঁধ্যাকরণ (টিউবেকটমি)

৫. দম্পতি নিরাপত্তা পদ্ধতি:

  • ধর্মীয় কালচার্ট পদ্ধতি 
  • বিরতিকালীন সময়ে অমিলন

এছাড়াও কিছু অস্থায়ী পদ্ধতি রয়েছে যেমন - জরুরি গর্ভনিরোধক পিল, নির্বাচিত দিনগুলিতে অবৈধ মিলন এড়ানো ইত্যাদি। জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত নিজস্ব শারীরিক ও আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে।

ছেলেদের স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনগুলা

পুরুষদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো ভেসেকটমি বা নপুংসকত্ব অপারেশন। ভেসেকটমি হলো একটি সামান্য অপারেশন যাতে পুরুষের শুক্রনালিকে বন্ধ অথবা কেটে ফেলা হয় যাতে শুক্রাণু শরীর থেকে বের হতে না পারে। এর ফলে পুরুষ প্রজনন অক্ষম হয়ে যায়। তবে এর ফলে যৌনমিলন এবং উত্তেজনায় কোন প্রভাব পড়ে না।

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি  ভেসেকটমি হলো একটি স্থায়ী পদ্ধতি যাকে রিভার্স করা খুবই কঠিন। তাই এটি নিশ্চিত হওয়ার পরই করা উচিত যে আর সন্তান প্রসব করতে চাওয়া হবে না। অন্যান্য স্থায়ী পদ্ধতিগুলি হলো

১. ভেসিকুলোভেসিকুলোস্টমি - শুক্রনালি এবং শুক্রথলিকে সম্পূর্ণ অপসারণ করা হয়।

২. ট্রানজন্ড অপারেশন - স্পার্ম উৎপাদন করার পদ্ধতির অংশগুলো অপসারণ করা হয়। 

এগুলো স্থায়ী হওয়ায় এবং রিভার্স করা খুব কঠিন বলে অতি সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। অস্থায়ী পদ্ধতিগুলোও বিদ্যমান থাকে যেমন কন্ডম ব্যবহার।

স্বল্প মেয়াদী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি হলো

স্বল্প মেয়াদী বা অস্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি হলো:

১. ব্যারিয়ার পদ্ধতি:
কন্ডম (পুরুষ এবং মহিলা উভয় প্রকার)
সারভিক্যাল ক্যাপ বা ডায়াফ্রাম
স্পারমিসাইডাল ক্রিম, জেল বা ফোম

২. জরুরি গর্ভনিরোধক পদ্ধতি:
 জরুরি গর্ভনিরোধক পিল (মর্নিং অ্যাফটার পিল)
কপার আই.ইউ.ডি

৩. হরমোনাল পদ্ধতি:
সাধারণ গর্ভনিরোধক বা বার্থ কন্ট্রোল পিল 
প্রোজেস্টিন ইনজেকশন (ডিপো-প্রোভেরা)

৪. বাস্তবায়িত পদ্ধতি:
নিরাপদ সময় (রাইথাম পদ্ধতি)
বিরতিকালীন মিলন

৫. লেক্টেশন অ্যামেনরিয়া পদ্ধতি (LAM):
শিশুর স্তন্যপানের সময়

এগুলি স্বল্প মেয়াদী বা অস্থায়ী পদ্ধতি কারণ এগুলি ব্যবহারের পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তাই নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদী বা স্থায়ী পদ্ধতির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লেখক এর মন্তব্য

জন্মনিয়ন্ত্রণের সব থেকে সুরক্ষিত পদ্ধতি জেনে নিন আমরা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্যাবলেট খেয়ে থাকি বা অনেকগুলো পদ্ধতি নিয়ে থাকি । কিন্তু হয়তো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা ভালো সেটা আমরা জানি না তো পাঠক আপনি আমার এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন কোন পদ্ধতিগুলা ব্যবহার করলে বা কোন ট্যাবলেটগুলা খেলে আপনি খুব সহজেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আমারে আর্টিকেলটাতে পুরো দেওয়া আছে আশা করছি আপনি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url