ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করবেন তার সহজ উপায় আমি আমার এই পোস্টটির মধ্যে তুলে ধরেছি । এবং ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম জেনে নিন।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়


ফেসবুক মানে এই নয় যে আইডি চালানো বা এসএমএস করা বা ভিডিও দেখা ফেসবুক থেকেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেটা কিভাবে পারবেন সেটা কিভাবে পারবেন আমি আমার পোষ্টির মধ্যে তুলে ধরেছি আপনি এই পোস্ট টি পড়লে বুঝতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্র ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক থেকে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি নিম্নরূপ ফেসবুক পেজ বিজ্ঞাপন ফেসবুকে আপনার পেজে অন্যদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আয় করা যায়। আপনি বুস্টযোগ্য পোস্ট বা ফেসবুক এডস ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি আপনার পেজে বিভিন্ন অনলাইন পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। প্রতিবার কেউ সেই লিঙ্ক থেকে কিছু কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।

স্পন্সরড কন্টেন্ট বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে অর্থ প্রদান করবে যদি আপনি তাদের পণ্য বা সেবা আপনার পেজে প্রচার করেন। ফেসবুক গ্রুপ একটি বিশেষায়িত গ্রুপ তৈরি করে আপনি সদস্যদের মাসিক/বার্ষিক ফি আদায় করতে পারেন এবং এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট প্রদান করতে পারেন। ফলোয়ারদের কাছে কন্টেন্টের জন্য ডনেশন চাওয়া যায়। 

ফেসবুক লাইভ আপনি লাইভ বিডিওতে অভিজ্ঞতা বিক্রি করতে পারেন বা দর্শকদের কাছে টিপস চাইতে পারেন। ই-কমার্স ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে আপনার নিজস্ব পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন। সফল হতে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হলো, প্রচুর ফলোয়ার বেস গড়ে তোলা, জনপ্রিয় এবং মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি করা এবং ব্র্যান্ডিং এর উপর গুরুত্বারোপ করা।

 ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম

ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এগুলো হলোঃ

  • ফেসবুক পেজ প্রতিষ্ঠা করুন: আপনাকে একটি ব্যবসায়িক বা ব্র্যান্ড পেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে আপনি বিজ্ঞাপন এবং স্পন্সরড পোস্ট প্রদর্শন করতে পারেন।
  • পেজে 10,000+ পেজ লাইক থাকা প্রয়োজন: বিজ্ঞাপন করার জন্য আপনার পেজে 10,000+ লাইক থাকতে হবে। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনার একটি মোটামুটি বড় অনুসরণকারী রয়েছে।
  • একটি ফেসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট বানান: আপনাকে একটি ফেসবুক বিজ্ঞাপন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে যাতে আপনি বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে পারেন।
  • বিজ্ঞাপন বাজেট ঠিক করুন: আপনাকে আপনার বিজ্ঞাপন বাজেট ঠিক করতে হবে এবং কোন লক্ষ্য গ্রুপকে লক্ষ্য করবেন তা চিহ্নিত করতে হবে।
  • অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামগুলি অনুসরণ করুন: আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেন এবং আপনার পেজে তাদের পণ্য বা সেবার লিঙ্কগুলি শেয়ার করতে পারেন।
  • সৎ এবং ওপেন থাকুন: ফেসবুক নীতি ও শর্তাবলী অনুসরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতারণামূলক বা ভুয়া কন্টেন্ট পোস্ট করবেন না।

সম্প্রতি ফেসবুক কিছুটা তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করেছে। সুতরাং টাকা উঠানোর আগে আপনাকে ফেসবুকের সর্বশেষ নীতিমালা অবশ্যই পড়ে নিতে হবে।

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা আয় করার কিছু সহজ উপায়  আপনার পেজে স্পন্সরড বা বিজ্ঞাপনযুক্ত পোস্টগুলি পোস্ট করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সেবা বিজ্ঞাপনের জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি আপনার পেজে বিভিন্ন পণ্য বা সেবার লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। প্রতিবার যখন আপনার পেজের ফলোয়ারদের মধ্যে কেউ লিঙ্কটি ক্লিক করে কিছু কিনবে, আপনি কমিশন পাবেন।

স্পন্সরশিপ আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানকে আপনার পেজে তাদের পণ্য বা সেবা প্রচার করার অনুমতি দিতে পারেন। এর বিনিময়ে তারা আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। পেইড গ্রুপ আপনি একটি বিশেষ গ্রুপ তৈরি করতে পারেন এবং সদস্যদের নির্দিষ্ট মাসিক বা বার্ষিক ফি দিয়ে সেই গ্রুপে যোগদান করার অনুমতি দিতে পারেন।

আপনি আপনার পেজের ফলোয়ারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট সরবরাহ করতে পারেন এবং তাদের ডনেশন করার আহ্বান জানাতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনাকে প্রচুর পরিমাণ গুণগত মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং একটি বড় ফলোয়ার বেস গড়ে তুলতে হবে যাতে আপনার পেজ থেকে সঠিকভাবে আয় করা সম্ভব হয়।

ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করব কিভাবে

ফেসবুক রিলস থেকে আয় করার জন্য আপনি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন  ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিবন্ধন করুন ফেসবুক রিলসে আয় করতে আপনাকে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিবন্ধিত হতে হবে। এজন্য আপনার অন্তত 10,000 ফলোয়ার এবং একটি ভেরিফাইড ব্যাজ থাকতে হবে। Reels Play Bonus ফেসবুক তাদের ভিউয়ারদের জন্য একটি বিশেষ বোনাস প্রোগ্রাম চালু করেছে। এটির মাধ্যমে রিলস রানার অনুযায়ী আপনি বোনাস আয় করতে পারবেন। 

রিলসে আপনার ভিউস যতো বেশি হবে, বোনাসও ততো বেশি হবে। স্পন্সরড কন্টেন্ট বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানি আপনাকে আপনার রিলসে তাদের পণ্য বা সেবা তুলে ধরার জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে। কন্টেন্ট স্পন্সরশিপের জন্য আপনি তাদের সাথে চুক্তি করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি আপনার রিলসে বিভিন্ন প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। প্রতিবার কেউ সেই লিঙ্কগুলি দিয়ে কিছু কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। মার্চেনডাইজ বিক্রি যদি আপনার একটি বড় ফলোয়িং থাকে, তাহলে আপনার নিজস্ব মার্চেনডাইজ বিক্রি করতে পারেন যেমন- টি-শার্ট, ক্যাপ ইত্যাদি।
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় - ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম


মূলত, আপনাকে ফেসবুকের রিলস প্ল্যাটফর্মে একটি নিয়মিত ও মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং একটি বড় অনুসরণকারীর বেস গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে ব্র্যান্ডগুলির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে যারা আপনার রিলসে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার জন্য আগ্রহী হবে।

১ ভিউ কত টাকা

ফেসবুক রিলসে 1 ভিউয়ের বিনিময়ে কত টাকা পাওয়া যায় তা নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল:

দেশ: ভিউয়ের মূল্য দেশভেদে পরিবর্তিত হয়। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি ভিউ এর মূল্য বেশি থাকে।

নিচের ভিউস কম মূল্য: সাধারণত প্রথম কিছু হাজার ভিউয়ের মূল্য কম থাকে। যদিও ভিউয়ের সংখ্যা বাড়লে মূল্যও বাড়বে।

কন্টেন্টের ধরন: কিছু ধরনের কন্টেন্ট যেমন শিক্ষামূলক, এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি বেশি মূল্য পায়।  

নিচে কিছু সামান্য হিসাব

  • প্রথম 10,000 ভিউ = প্রতি 1000 ভিউয়ে $0.5 - $3 (অর্থাৎ প্রতি ভিউ $0.0005 - $0.003)
  • 10,000 - 1 মিলিয়ন ভিউ = প্রতি 1000 ভিউয়ে $2 - $5 (অর্থাৎ প্রতি ভিউ $0.002 - $0.005) 
  • 1 মিলিয়নেরও বেশি ভিউ = প্রতি 1000 ভিউয়ে $5 - $8 (অর্থাৎ প্রতি ভিউ $0.005 - $0.008)

তবে এগুলো কেবলমাত্র আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত মূল্য আপনার লোকেশন, নিচে, ইনফ্লুয়েন্স এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করবে। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিবন্ধন করলে আপনি আরও বেশি মূল্য পেতে পারেন।

10000 ভিউ এর জন্য ফেসবুক কত টাকা দেয়

ফেসবুক রিলসে 10,000 ভিউয়ের জন্য পাওয়া যাওয়া অর্থের পরিমাণ সম্পূর্ণভাবে আনুমানিক। তবে গড়ে নিম্নোক্ত হারে অর্থ প্রদান করা হয়:

প্রথম 10,000 ভিউয়ের জন্য ফেসবুক প্রদান করে থাকে $5 থেকে $30 এর মধ্যে যদি এটি আনুমানিক $0.003 প্রতি ভিউ ধরা হয়, তাহলে 10,000 ভিউয়ের জন্য ফেসবুক প্রদান করবে প্রায় $30

কিন্তু প্রকৃত মূল্য নির্ভর করবে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর:

  • আপনার অবস্থান (দেশ এবং অঞ্চল)
  • কন্টেন্টের ধরণ 
  • আপনার ইনফ্লুয়েন্সার স্ট্যাটাস (যদি থাকে)
  • আপনার ফলোয়ার সংখ্যা
  • আপনার রিলসের এনগেজমেন্ট রেট
যদি আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সার হন এবং উচ্চ এনগেজমেন্ট থাকে, তাহলে আপনি 10,000 ভিউয়ের জন্য $40 বা তারও বেশি পেতে পারেন। অন্যদিকে, যদি আপনি নতুন হন এবং কম এনগেজমেন্ট থাকে, তাহলে 10,000 ভিউয়ের জন্য আপনি শুধুমাত্র $5-$10 পেতে পারেন।

সুতরাং, মূল্য নির্ভর করবে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর যা ফেসবুক তাদের গোপন অ্যালগরিদমে ব্যবহার করে। এটি একজন নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়।

ফেসবুকে কত ফলোয়ার হলে টাকা পাওয়া যায়

ফেসবুকে টাকা আয় করার জন্য কোন নির্দিষ্ট ফলোয়ার সংখ্যা নেই। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ ফলোয়ার সংখ্যা বেশি আয়ের সম্ভাবনা বাড়ায়। নিম্নলিখিত ফলোয়ার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আয়ের সম্ভাবনা থাকে:

1,000+ ফলোয়ার

এই পর্যায়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং স্পন্সরড পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা আয় করতে পারবেন। তবে আয়ের পরিমাণ খুবই সামান্য হবে।

10,000+ ফলোয়ার
 
এই পর্যায়ে আপনি স্পন্সরড পোস্ট এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনাকে তাদের পণ্য/সেবা প্রচারের জন্য অর্থ প্রদান করতে পারে।

100,000+ ফলোয়ার

এই পর্যায়ে আপনি একজন মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে বিবেচিত হবেন। আপনি স্পন্সরড কন্টেন্ট, অ্যাফিলিয়েট এবং পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভাল আয় করতে পারবেন।  কিছু কোম্পানি আপনাকে ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসাবেও নিযুক্ত করতে পারে।

মিলিয়ন+ ফলোয়ার 

একজন বৃহৎ ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে, আপনি স্পন্সরড কন্টেন্ট, ব্র্যান্ড এন্ডর্সমেন্ট, মার্চেন্ডাইজ বিক্রি এবং অন্যান্য উপায়ে প্রচুর আয় করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র ফলোয়ার সংখ্যা নয়, এনগেজমেন্ট রেট, নিচ, কন্টেন্টের মান এবং সঠিক বিপণন কৌশলও অনেকাংশেই আয়কে প্রভাবিত করে।

ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম

ফেসবুক পেজ খোলার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এগুলো হলো:

  • পেজের ধরণ নির্বাচন: আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরণের পেজ আপনি খুলতে চান - ব্যবসা অথবা ব্র্যান্ড, সামাজিক সমালোচনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ইত্যাদি।
  • পেজের নামকরণ: পেজের নাম অনন্য, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক হওয়া বাঞ্চনীয়। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের পেজ থাকলে, তার মোবাইল অ্যাপের নামই পেজের নাম হওয়া উচিত।
  • ক্যাটাগরি নির্বাচন: আপনাকে একটি প্রাসঙ্গিক ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে যেমন কোম্পানি, সার্ভিস, এনটারটেইনমেন্ট ইত্যাদি।
  • বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান: পেজের বর্ণনা অনন্য, সুস্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।  পেজের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বর্ণনায় স্পষ্ট করতে হবে।
  • প্রোফাইল এবং কভার ফটো আপলোড: প্রোফাইল এবং কভার ফটোগুলি উচ্চ গুণমানের, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় হওয়া বাঞ্চনীয়।
  • পৃষ্ঠার লিঙ্ক যোগ করুন: আপনাকে পেজের জন্য একটি নিজস্ব ওয়েব এড্রেস অর্থাৎ ফেসবুক পেজ লিঙ্ক যোগ করতে হবে।
  • বার্তা অপশন সক্রিয় করুন: নতুন পেজে অবশ্যই বার্তা অপশনটি সক্রিয় রাখতে হবে যাতে ফলোয়াররা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
  • প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি জুড়ুন: আপনাকে পেজের সম্পর্কিত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য যেমন লোকেশন, রেটিং, পোস্টিং মিলেনিয়াম ইত্যাদি নির্দিষ্ট করতে হবে।

মূলত পৃষ্ঠাটি যেন গ্রাহকবান্ধব, প্রাসংগিক এবং তথ্যসমৃদ্ধ হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

ফেসবুক রিল প্রতি 1000 ভিউতে কত টাকা দেয়

ফেসবুক রিলস-এর ভিউয়ের বিনিময়ে প্রদেয় অর্থের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়। এটি নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর যেমন উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি 1000 ভিউয়ের মূল্য বেশি থাকে।এনগেজমেন্ট রেট যদি আপনার রিলসের লাইক, কমেন্ট, শেয়ার রেট বেশি হয়, তাহলে মূল্যও বেশি পাবেন। ইনফ্লুয়েন্সার স্ট্যাটাস: যদি আপনি ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে নিবন্ধিত থাকেন, তাহলে বেশি মূল্য পাবেন। 

ফলোয়ার সংখ্যা ফলোয়ারের সংখ্যা যত বেশি, মূল্যও তত বেশি। কন্টেন্টের ধরণ কিছু বিশেষ ধরণের কন্টেন্ট যেমন শিক্ষামূলক, এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি বেশি মূল্য পায়।

যাইহোক, গড়পড়তা কিছু হার নিম্নরূপ:

- প্রথম 10,000 ভিউয়ের জন্য প্রতি 1000 ভিউয়ে $0.5 - $3 
- 10,000 - 1 মিলিয়ন ভিউয়ের জন্য প্রতি 1000 ভিউয়ে $2 - $5
- 1 মিলিয়নের বেশি ভিউয়ের জন্য প্রতি 1000 ভিউয়ে $5 - $8

অর্থাৎ, এক হিসাবে প্রথম 10,000 ভিউয়ের জন্য প্রতি 1000 ভিউয়ে পাওয়া যেতে পারে $5 - $30। একজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারের ক্ষেত্রে এই হার অনেক বেশি হতে পারে। তবে এগুলো শুধুমাত্র আনুমানিক হার। প্রকৃত মূল্য ফেসবুকের নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

ফেসবুক ভিডিও থেকে কত টাকা আয় করা যায়

ফেসবুকে ভিডিও থেকে আয় করার পরিমাণ নির্ভর করে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর। তবে আনুমানিক কিছু হার নিম্নরূপ:

 In-Stream অ্যাডস

যদি আপনার ভিডিও ফেসবুকের In-Stream অ্যাড পুল থেকে বিজ্ঞাপন গ্রহণ করে তাহলে আপনি নিম্নলিখিত হারে আয় করতে পারেন

  • প্রতি 1000 ভিউয়ে $1 - $5 (গড় $2)
  • এনগেজমেন্ট ভেদে এই হার পরিবর্তিত হতে পারে।

ফ্যান সাবস্ক্রিপশন

যদি আপনি ফ্যান সাবস্ক্রিপশন অফার করেন, তাহলে প্রতিমাসে:

  • $4.99 প্রতি সাবস্ক্রাইবার হিসেবে আয় পেতে পারেন
  • সর্বনিম্ন 10,000+ ফলোয়ার এবং 1,000+ ভিউ প্রয়োজন

স্টারস (Stars)

যদি দর্শকরা আপনার ভিডিওতে "স্টার" প্রদান করে, আপনি তা থেকে নিম্নরূপ আয় করবেন:  

  • প্রতি স্টারের মূল্য $0.01
  • এক মাসে সর্বোচ্চ $500 পর্যন্ত আয় করা সম্ভব

ফেসবুক রিল প্রতি 1000 ভিউতে কত টাকা দেয়


ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ

বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনাকে স্পন্সর করতে পারে যাতে আপনি তাদের পণ্য/সেবা প্রচার করতে পারেন। স্পন্সরশিপের মূল্য নির্ভর করবে আপনার জনপ্রিয়তা, অনুসরণকারীর সংখ্যা এবং চুক্তির শর্তের উপর।সামগ্রিকভাবে, ভিডিও থেকে সঠিক আয় করতে আপনার কন্টেন্টের গুণগত মান, ভিডিওর এনগেজমেন্ট রেট এবং অনুসরণকারীর সংখ্যা বেশি থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও আপনাকে নিয়মিত এবং জনপ্রিয় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

ফেসবুক প্রফেশনাল মোড থেকে ইনকাম

ফেসবুক প্রফেশনাল মোড থেকে আয় করার কিছু উপায় রয়েছে। এগুলো হল অনলাইন সার্ভিস কাজের বিক্রি যদি আপনি কোন পেশাদার হন, যেমন- গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, লেখক, ভিডিও এডিটর ইত্যাদি, তাহলে আপনি আপনার প্রফেশনাল পেজে আপনার সার্ভিসগুলি বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

স্পন্সরড পোস্ট বিজ্ঞাপন আপনি আপনার প্রফেশনাল পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের স্পন্সরড পোস্ট বা বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফেসবুক এডস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি আপনার প্রফেশনাল পেজে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। যখনই কেউ সেই লিঙ্কগুলির মাধ্যমে কিছু কিনবে, তখন আপনি কমিশন পাবেন। ডিজিটাল পণ্য বিক্রি যদি আপনার কোন ই-বুক, কোর্স, টেমপ্লেট বা ডিজিটাল পণ্য থাকে, তাহলে আপনি সেগুলি আপনার প্রফেশনাল পেজ থেকে বিক্রি করতে পারেন।

ডোনেশন/সাবস্ক্রিপশন আপনি আপনার প্রফেশনাল পেজে আপনার অনুসরণকারীদের কাছ থেকে ডোনেশন গ্রহণ করতে পারেন বা তাদের জন্য পরামর্শ বা অন্য কোন সার্ভিসের জন্য সাবস্ক্রিপশন পেকেজ চালু করতে পারেন। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলির জন্য আপনাকে মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে এবং একটি বড় অনুসরণকারীর বেস গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া আপনার পরিচয় এবং ব্র্যান্ডিংয়ের উপর ভিত্তি করেই আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করবে।

লেখক এর মন্তব্য

ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়  ফেসবুক থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম এসব সকল বিষয়ে আপনাদের সাথে আমি তুলে ধরেছি । ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন ফেসবুকের কোন অপশন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় সব বিষয়ে আপনাদের সামনে আমি আমার এ পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছি । আশা করা যায় আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন স্মার্ট এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url